|
রাহুল গান্ধী ইডির অফিসে যাওরার সময়েই বিশৃঙ্খলা
মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীদের স্লোগানের মধ্যেই রাহুল গান্ধী, দিদি তথা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে সঙ্গে করে এগিয়ে যান ইডির অফিসের দিকে। মিছিলে কংগ্রেস কর্মীরা ছিলেন বড় সংখ্যায়। সেই সময়
প্রচুর পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভদরা কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে ফিরে আসেন। ইডির অফিসের দিকে এগিয়ে যান রাহুল গান্ধী এবং তাঁর আইনজীবী।
|
আটক একের পর এর নেতা
রাহুলের জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নামসে কংগ্রেসের একের পর এক নেতাকে গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেই তালিকায় ছিলেন, কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী, কেসি বেণুগোপাল। তাঁদেরকে তুঘলক রোড থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
অন্যদিকে দীপেন্দর সিং গুডা, অশোক গেহলটের মতো নেতাদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় ফতেপুর থানায়। মন্দির মার্গ থানায় নিয়ে যাওয়া হয় কংগ্রেস নেতা রজনী পাতিল, অখিলেশপ্রসাদ সিং-এর মতো নেতাদের।
এদিন প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, দিগ্বিজয় সিং, পি চিদাম্বরম, জয়রাম রমেশ, সচিন পাইলট, মুকুল ওয়াসনিক, গৌরব গগৈ এবং রাজীব শুক্লার মোত নেতারা।
দিল্লি পুলিশের তরফে রবিবার রাতেই সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও ভিভিআইপিএদের নিরাপত্তার কারণে দেখিয়ে কংগ্রেসের প্রতিবাদ জানানোর কর্মসূচির আবেদন বাতিল করে দেওয়া হয়।
সারা দেশেই আন্দোলন
এদিন শুধু দিল্লিতেই নয়, দেশের বিভিন্ন অংশে থাকা ২৫ টি ইডির অফিসের সামনে এদিন বিক্ষোভের কর্মসূচি নেয় কংগ্রেস। এর মধ্যে রয়েছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর, অসমের গুয়াহাটির মতো শহরও। এদিন সকালে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন দিল্লিতে ব্যারিকেড করা হয়েছে, এতেই প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে সরকার ভয় পেয়েছে। তিনি বলেন, ইংরেজরা পারেনি আর নতুন অত্যাচারীরাও অত্যাচার করতে পারবে না। তিনি বলেন, ১৩৬ বছর ধরে কংগ্রেস সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর।
তিনি নরেন্দ্র মোদী সরকারকে কাপুরুষ বলেও বর্ণনা করেন। কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে, তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন। বিরোধীদের কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করার জন্যই ইডি এবং অন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে কংগ্রেসের তরফে।
|
কটাক্ষ বিজেপির
এদিন কংগ্রেসের কর্মসূচি নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ স্মৃতি ইরানি বলেন, কংগ্রেস নেতারা রাস্তায় নেমেছেন তদন্তকারী সংস্থাকে চাপে রাখার জন্য। কেননা তাদের দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। তারা গান্ধী পরিবারের সম্পত্তি রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে কটাক্ষ করেছেন স্মৃতি ইরানি।