মনোজ না পারলে সুদীপ?
মনোজ তিওয়ারি ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৭৩ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮৫ বলে ১৩৬ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে ভোগাচ্ছে হাঁটুর চোট। এমআরআই পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, নতুন করে চোট লাগেনি। কিন্তু হাঁটু ফুলে রয়েছে। বাংলা দলের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই অনুশীলন করতে পারেননি মনোজ। কোচ অরুণ লাল অবশ্য মনোজ খেলতে পারবেন বলে আশাবাদী। একান্তই যদি মনোজ খেলতে না পারেন তাহলে প্রথম একাদশে আসতে পারেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়।
ব্যাটিং নিয়ে চিন্তা কমেছে
রঞ্জির গ্রুপ পর্বের খেলায় বাংলা তিনটি ম্যাচে জিতলেও ব্যাটিং নিয়ে কিছুটা চিন্তা ছিল। কিন্তু প্রথম ৯ ব্যাটার ৫০ পেরিয়ে গিয়ে বাংলা বিশ্বরেকর্ড তো গড়ে ফেলেছেই, ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে রানের পাহাড়ও গড়ে ফেলেছিল। স্বাভাবিকভাবেই তা বাড়িয়েছে আত্মবিশ্বাস। তবে বেঙ্গালুরুর জাস্ট ক্রিকেট গ্রাউন্ডের চেয়ে আলুরের উইকেটের চরিত্রে তফাত রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। অরুণ লাল বলেন, দু-দিন ধরে আমরা এখানে অনুশীলন করেছি। খুবই কার্যকরী অনুশীলন হয়েছে। গোটা দল মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে নামার জন্য তৈরি। উল্লেখ্য, চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের মধ্যপ্রদেশ পাঞ্জাবকে ১০ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে। শুভম শর্মা ১০২, হিমাংশু মন্ত্রী ৮৯, রজত পাটীদার ৮৫, অক্ষত রঘুবংশী ৬৯ রান করেছিলেন। আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে খেলা কুমার কার্তিকেয় প্রথম ইনিংসে ১টি উইকেট পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং ওপেন করে ৫০ রানে ৬ উইকেট নেন। শুভমান গিল-সহ প্রথম ৬ ব্যাটারের পাঁচজনকেই তিনি আউট করেন। বাংলার বিরুদ্ধে খেলতে পারেন কুলদীপ সেনও। ফলে তথাকথিত তারকা না থাকলেও বাংলাকে শক্ত চ্যালেঞ্জ দিতে পারে মধ্যপ্রদেশ।
দুই স্পিনার নিয়ে
বাংলাকে মধ্যপ্রদেশ শেষবার হারিয়েছিল ২০১৬ সালের কোয়ার্টার ফাইনালে। ২০১৮ সালে শেষ সাক্ষাত ড্র হয়। বাংলা ও মধ্যপ্রদেশের শেষ পাঁচটি সাক্ষাতে চারটি ম্যাচ ড্র, একটিতে জয় মধ্যপ্রদেশের। ফলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়েরই অপেক্ষা রয়েছে। আলুরে যেখানে এই সেমিফাইনালটি হবে সেখানে হয়েছিল কর্নাটক ও উত্তরপ্রদেশের কোয়ার্টার ফাইনাল। ম্যাচটি তিন দিনে শেষ হয়ে গিয়েছিল। বেশিরভাগ উইকেট পেয়েছিলেন পেসাররাই। তবে অরুণ লাল উইকেট দেখে মনে করছেন,শুষ্ক উইকেট স্পিনাররা সাফল্য পেতে পারেন। সে কারণে পেসারের সংখ্যা কমিয়ে তিন পেসার, দুই স্পিনার কম্বিনেশনে যাবে বাংলা। অরুণ লাল বলেন, আগের ম্যাচে কিছুটা ঝুঁকি নিয়েই এক স্পিনার খেলিয়েছিলাম। তবে দুই স্পিনার থাকলে দলে ভারসাম্য ঠিক থাকে।
ঋত্ত্বিক আসছেন একাদশে
বাংলার বোলাররা সকলেই দারুণ ছন্দে রয়েছেন। ঈশান পোড়েল, মুকেশ কুমার, আকাশ দীপ ও সায়নশেখর মণ্ডল খেলেছিলেন কোয়ার্টার ফাইনালে। সায়ন ৮৫ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেন প্রথম ইনিংসে। বল হাতে চারটি উইকেট নেন। এই অবস্থায় কাকে বসানো হবে সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আলুরে আগের ম্যাচে পেসারদের দাপটের বিষয়টি মাথায় রাখছেন অরুণ লাল। কাল উইকেট দেখে এগারো চূড়ান্ত করবেন। পেসার কমানো হলে সায়নই বাইরে থাকতে পারেন। স্পিনার হিসেবে ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায় শাহবাজ আহমেদের সঙ্গী হতে চলেছেন।