ফুরফুরে মেজাজে কার্তিক
মানসিকভাবেও তিনি রয়েছেন ফুরফুরে মেজাজেই। আইপিএলের সাফল্য তাঁর আত্মবিশ্বাস যে বাড়িয়ে দিয়েছে তা দেখা যাচ্ছে ভারতীয় দলের অনুশীলনে তাঁর চালচলনেও। কার্তিক জানেন, ফিনিশার হিসেবে সাফল্য পেতে কোন কোন শট খেলায় জোর দেওয়া দরকার। থ্রোডাউন স্পেশ্যালিস্টদের ডেকে নিয়ে সেইসব বিশেষ শটের অনুশীলনও চালাচ্ছেন। তারই মাঝে কার্তিক বিসিসিআইকে জানিয়েছেন নিজের পছন্দের নানা বিষয় সম্পর্কে।
ধোনির মস্তিষ্কের রহস্যভেদ!
বিসিসিআইয়ের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে কার্তিকের র্যাপিড ফায়ার প্রশ্নোত্তরের মজাদার ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে কার্তিক বলেছেন, কার মাথায় কী চলছে তা সঠিকভাবে বোঝার ক্ষমতা যদি থাকতো, তাহলে সবার আগে মহেন্দ্র সিং ধোনির মস্তিষ্কের রহস্যভেদের চেষ্টা চালাতাম। সতীর্থদের নিয়ে রাতে মুভি দেখতে যাওয়ার চেয়েও কার্তিকের বেশি পছন্দ টিম ডিনার। কফির থেকেও বেশি পছন্দ করেন চা। ভারতের নানা প্রান্তে ভ্রমণের অভিজ্ঞতার নিরিখে তিনি ভালো চায়েরই অনুরাগী।
ডিকের পছন্দ
কার্তিককে প্রশ্ন করা হয়েছিল তিনি নাচ না গান, কোনটা বেশি ভালোবাসেন? কার্তিক বলেন, দুটোর কোনওটাতেই আমি ভালো নই। তবে রান্না করার চেয়ে কোনও কিছু পরিষ্কার করার কাজই তাঁর বেশি পছন্দের। সমুদ্রের বিচের চেয়েও কার্তিকের বেশি পছন্দ পাহাড়-পর্বত। সেখানকার শান্ত পরিবেশই কার্তিককে বেশি আকৃষ্ট করে।
|
ফেডেরার ও মেসির গুণমুগ্ধ
কার্তিক রজার ফেডেরারের বড় ভক্ত। জানিয়ে দিলেন, কোর্টে ও কোর্টের বাইরে যেভাবে ফেডেরারকে দেখা যায় তাতে তাঁরই গুণমুগ্ধ তিনি। এমনকী কোনও ফিল্মস্টারকে নয়, ফেডেরারকেই মধ্যাহ্নভোজে একান্তে নিয়ে যেতে চান কার্তিক। নাদালের চেয়েও তিনি ফেডেরারেরই বেশি অনুরাগী। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো নন, কার্তিকের পছন্দের ফুটবলার লিওনেল মেসি। কার্তিক বলেন, যেটুকু ফুটবল দেখেছি তাতে মেসিকে কিছুটা আলাদা মনে হয়েছে। আলাস্কার কথা অনেক শুনেছেন। উড়তে পারলে সেখানেই চলে যেতেন। কার্তিককে প্রশ্ন করা হয়েছিল যদি একটা দিন ফোন ছাড়া কাটাতে হয়, তাহলে সেই অভিজ্ঞতা কেমন হবে? কার্তিক জানান, অসুবিধা নেই। ফোন তাঁর জীবনযাপনে আবশ্যিক বিষয় নয়।