খতম হওয়া তিন জঙ্গি স্থানীয়
খতম হওয়া জঙ্গিদের কাছ থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি উদ্ধার হয়েছে বোমাও। বড়সড় হামলার পরিকল্পনা করতেই বিশাল এই অস্ত্র জোগাড়! খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে খতম হওয়া তিন লস্কর জঙ্গিই স্থানীয় বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। কাশ্মীর জোনের ইনস্পেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ, বিজয় কুমার বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হওয়া তিন জঙ্গি স্থানীয় ছিল। শুধু তাই নয়, তারা পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গেও যুক্ত ছিল বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
লস্করের তিন জঙ্গিই খতম
পুলওয়ামায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে খতম হওয়া জঙ্গিদের শনাক্ত করা হয়েছে। কাশ্মীরের আইজি বিজয় কুমার এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, তিন জঙ্গিই লস্করের সক্রিয় সদস্য। এলাকায় জঙ্গি কার্যকলাপ চালানোর মারাত্মক অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। এমনকি তিন জঙ্গির মধ্যে একজন জুনায়েদ শেরগোজরি বলে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ পুলিশ অফিসার রিয়াজ আহমেদ থোকারকে হত্যার সাথে জড়িত ছিল বলেও মনে করা হচ্ছে।
বাকিদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে
জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে (Pulwama Encounter) চলা এনকাউন্টারে খতম হওয়া আরও দুই জঙ্গি'র পরিচয় জানার (Terrorists ) চেষ্টা চলছে। তবে দুই জঙ্গি পুলওয়ামা জেলারই বাসিন্দা বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকি না, ফাজিল নাজির ভাট (Fazil Nazir Bhat) এবং ইরফান আহ মালিক বলেই পুলিশ জানতে পেরেছে। পুলিশের তরফে জানা যাচ্ছে, জঙ্গিদের কাছে বেশ কিছু অস্ত্র বোমা উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে এক৪৭ এর মতো বন্দুক। এছাড়াও প্রচুর নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
ক্রমশ বাড়ছে টার্গেট কিলিং
গত কয়েকমাসে কাশ্মীরে হঠাত করেই জঙ্গি কার্যকলাপ বেড়ে গিয়েছে। বারবার টার্গেট কিলিংয়ের ঘটনা ঘটছে। ভিন রাজ্যের শ্রমিক তো কখনও পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটছে। এমনকি পন্ডিতদেরও ছাড়া হচ্ছে না। এই অবস্থা রীতিমত উদ্বেগে ফেলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে। আর সেদিকে তাকিয়ে লাগাতার বইয়হক করেছেন অমিত শাহ। সেনাবাহিনীর তরফেও বৈঠক হয়েছে। এই অবস্থায় সেনাবাহিনী যেভাবে তিন জঙ্গিকে এদিন খতম করেছে যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।