দর বাড়ল আড়াই গুণ
বোর্ডসূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রথম দিনের শেষে ২০২৩ থেকে ২০২৭ অবধি আইপিএলের মিডিয়া স্বত্বের দর পৌঁছে গিয়েছে ৪৩ হাজার কোটি টাকায়। যা আগামীকাল ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। ভারতীয় উপমহাদেশে টেলিভিশনে সম্প্রচার স্বত্বের জন্য লড়াই চলছে ডিজনি স্টার, সোনি পিকচার্স নেটওয়ার্কস ইন্ডিয়া ও ভায়াকম ১৮-র মধ্যে। ডিজিটাল রাইটস পাওয়ার দৌড়ে ডিজনি প্লাস হটস্টারের সঙ্গে রয়েছে জি এবং রিলায়েন্স জিও।
ম্যাচপিছু দর ১০৫ কোটি টাকা
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে স্টার ইন্ডিয়া ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের জন্য আইপিএলের মিডিয়া স্বত্ব কিনেছিল ১৬,৩৪৭.৫ কোটি টাকায়। এটাই ছিল ক্রিকেটে মিডিয়া স্বত্বলাভের সর্বাধিক পরিমাণ চুক্তি। তার আগের পাঁচ বছরের চেয়ে এই চুক্তির পরিমাণ ছিল ১৫৮ শতাংশ বেশি। টিভি ও ডিজিটাল রাইটসের পাশাপাশি নন-এক্সক্লুসিভ ডিজিটাল (১৮টি ম্যাচ) ও বিশ্বের বাকি অংশের সম্প্রচার স্বত্ব কারা পাবে তা চূড়ান্ত হবে ই-অকশন প্রক্রিয়ার শেষে। জানা গিয়েছে, শেষ দুটি বিভাগের নিলাম এখনও হয়নি। ২০২৩ থেকে ২০২৭ সাল অবধি অন্তত ৪১০টি ম্যাচ হবে আইপিএলে। যেভাবে নিলাম প্রক্রিয়া চলছে তাতে ম্যাচপিছু দর পৌঁছে গিয়েছে ১০০ কোটি টাকার বেশি, অর্থাৎ ১০৫ কোটি টাকায়।
নিলাম চলবে সোমবারও
সূত্রের খবর, প্রথম দিনের শেষে প্যাকেজ এ অর্থাৎ টিভি স্বত্বের দর পৌঁছে গিয়েছে ২৩,৩৭০ কোটি টাকায়, যা ম্যাচপিছু ৫৭ কোটি টাকা। ডিজিটাল রাইটস রয়েছে প্যাকেজ বি-তে, এখানে দর উঠেছে ১৯.৬৮০ কোটি টাকা বা ম্যাচপিছু ৪৮ কোটি টাকা। ভারতে স্মার্টফোনের বিপ্লব আসায় এবং মোবাইল ডেটা সহজলভ্য হয়ে যায় এবার টিভি স্বত্বের সঙ্গে ডিজিটাল স্বত্বের ব্যবধান কমে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আইপিএলের সামনে শুধু এনএফএল
বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, রাজস্ব লাভের ক্ষেত্রে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগকেও পিছনে ফেলেছে আইপিএল। ক্রিকেটের বিবর্তনে এই বিষয়টি দেখে তাঁর ভালো লাগে। ইতিমধ্যেই ইপিএল ও মেজর লিগ বেসবলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে আইপিএল। ফলে, মিডিয়া স্বত্বের নিরিখে ন্যাশনাল ফুটবল লিগ বা এনএফএলের কতটা কাছাকাছি আইপিএল এবার পৌঁছাতে পারে বা টেক্কা দিতে পারে কিনা সেটাই দেখার। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বোর্ড সচিব জয় শাহ বলেছেন, এনএফএলের সাতটি ব্রডকাস্টিং পার্টনার রয়েছে। প্যাকেজে ভাগ করে এবার মিডিয়া স্বত্ব করার কারণ তাতে আইপিএলেরও তিন-চারটি পার্টনার থাকবে। আইপিএল তথা ক্রিকেটের বিকাশের লক্ষ্যেই বোর্ডের এই উদ্যোগ।