একমাসের কমে প্রায় ১০০০% সংক্রমণ বৃদ্ধি
প্রসঙ্গত ১৭ মে মুম্বইতে দৈনিক সংক্রমণ ছিল ১৫৮ । আর সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯৩২। ১৭ মে শেষবার সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা নেমেছিল ১০০০-এর নিচে। তবে এরপর থেকে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা গত ৫ মাসের মতো প্রথমবার ১০ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। শনিবার মুম্বইয়ে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা পৌঁছেছে ১০,০৪৭-এ। শতাংশের নিরিখে বৃদ্ধি ৯৭৮%। ১৭ মের পর ছেতে মুম্বইয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজারের বেশি। অন্যদিকে ১১ জুন থেকে সংক্রমম দ্বিগুণ হওয়ার হার ৫৪৪৯ থেকে ৫৬১ হয়েছে।
ভারতের এক পঞ্চমাংশ আক্রান্ত মুম্বইয়ে
শনিবার মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংক্যা ২৯২২ জন। এর মধ্যে প্রায় ৫৯ শতাংশ অর্থাৎ ১৭৪৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন শুধুমাত্র মুম্বইতেই। ১২ জুন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে দেশে করোনা আক্রান্তের এক পঞ্চমাংশই এখন মহারাষ্ট্রের। সরকারি তথ্য অনুযায়ী ১ জুন থেকে দৈনিক দেশে করোনা আক্রান্তের নিরিখে মুম্বইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৮ থেকে ২৪ শতাংশের মতো।
|
সরকারি তরফে প্রস্তুতি
মুম্বয়ে করোনা চতুর্থ তরঙ্গে সতর্কতা হিসেবে ইতিমধ্যেই বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন সেখানকার বাসিন্দাদের মাস্ক পরতে এবং কোভিড বিধি মেনে চলার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি সব ল্যাব এবং হাসপাতালগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে। তবে স্বস্তির ব্যাপার একটাই মুম্বইয়ে আক্রান্তদের ৯০ শতাংশের বেশি উপসর্গহীন এবং হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাটাও কম।
|
দেশের মধ্যে রেকর্ড আক্রান্ত মুম্বইতেই
এবছরের জানুয়ারিতে দেশে ওমিক্রনের তরঙ্গ চলার সময় দ্বিতীয় তরঙ্গের সব থেকে বেশি আক্রান্ত নথিভুক্ত করা হয়েছিল। সেই সময় সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯১ হাজারের বেশি। জানুয়ারিতে দৈনিক সর্বোচ্চ আক্রান্ত রেকর্ড করা হয়েছিল ২০ হাজারের বেশি। তবে আইসিএমআর-এর অতিরিক্ত মহানির্দেশক সমীরণ পাণ্ডা বলেছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে চতুর্থ তরঙ্গের সূচনা বলা যায় না। তিনি আরও বলেছেন, এব্যাপারে জেলাগুলির ডেটা পরীক্ষার দরকার রয়েছে।