উলুবেড়িয়ায় যাওয়ার আগেই আটক করা হয় সুকান্ত মজুমদারকে। নিউ টাউনে বিজেপির রাজ্য সম্পাদককে আটকে দেয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। আর তা ভেঙেই এগিয়ে যেতে থাকেন তিনি। আর তা নিয়েই একেবারে ধুন্ধুমার কাণ্ড রাজারহাট-নিউ টাউনে। পুলিশের সঙ্গে একবারে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা।
যা নিয়ে আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিস্থিতি।
গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার উত্তপ্ত উলুবেড়িয়া সহ হাওড়া'র বিস্তির্ন অঞ্চল। দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তপ্ত এলাকা। সাধারণ মানুষের বাড়ি তো বটেই, একাধিক বিজেপি পার্টি অফিসও পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। আর এই অবস্থায় আজ শনিবার উলুবেড়িয়া যাওয়ার কথা ছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই মতো সকাল থেকেই প্রস্তুতি ছিল। পালটা পুলিশের তরফেও তাঁকে আটকাতে সবরকম ভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হয় বলে দাবি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়ির সামনে বসানো হয় গার্ড রেল। শুধু তাই নয়, বিশাল পুলিশবাহিনীও মোতায়েন করা হয়। আর সুকান্ত মজুমদার বেরতেই তাঁকে আটকানো হয়। পুলিশের তরফে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, তিনি উলুবেড়িয়া যেতে পারবেন না। পালটা এই বিষয়ে কাগজ পুলিশের কাছে দেখতে চান বিজেপি রাজ্য সভাপতি। যা দেখাতে পারেনি বলেও অভিযোগ। আর এরপরেই পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে থাকেন সুকান্ত।
আর তা ঘিরেই একেবারে ধুন্ধুমার কাণ্ড তৈরি হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। শুধু তাই নয়, সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক বচসা হয় বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনা দেখে বিজেপি রাজ্য সভাপতির সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মীরা লাগাতার স্লোগান দিতে শুরু করেন।
যা নিয়ে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়। যদিও শেষমেশ হাওড়ার উদ্দেশ্যে সুকান্ত মজুমদার রওনা দিয়েছেন বলেই খবর। পুলিশি বাঁধা উপেক্ষা করেই তিনি যাচ্ছেন বলে খবর।
ঘটনা প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, পুলিশ অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আটকানোর চেষ্টা করেছে। এমনকি নিগ্রহ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। শুধু তাই নয়, তাঁর নিরাপত্তায় থাকা বাহিনীকেও পুলিশ মারধর করেছে বলে অভিযোগ বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, হাওড়ায় আক্রান্ত পার্টিঅফিসে যাওয়া পদাধিকারী হিসেবে তাঁর কর্তব্য ছিল। কিন্তু তাঁকে কোনও কাগজ ছাড়াই আটকানো হয় বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে, উলুবেড়িয়ার মনসাতলায় বিজেপি পার্টি অফিস পরিদর্শন করেন সর্বভারতীয় সহ সভাপতি ও সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তবে পাঁচলাতে প্রিয়াঙ্কা টিবড়েওয়ালকে আটকে দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।