স্বাস্থ্যকর খাদ্য প্রত্যেক ভারতীয়ের জন্য অসাধ্য?
সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (সিএসই)-এর তরফে ডাউন টু আর্থ ম্যাগাজিন দ্বারা প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেন স্বাস্থ্যকর খাদ্য প্রত্যেক ভারতীয়ের জন্য অসাধ্য? ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের মতে, একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য যখন একজন ব্যক্তির আয়ের ৬৩ শতাংশের বেশি হয় তখন তাকে অসাধ্য বলে মনে করা হয়।
যে খাদ্যাভ্যাস মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় মানুষকে
এই প্রতিবেদনে ফল, শাকসবজি ও গোটা শস্যের খাবার এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস, লাল মাংস (রেড মিট) এবং চিনিযুক্ত পানীয় বেশি খাবার নিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এবং এই খাদ্যাভ্যাসের ফলে সমস্যা তৈরি হয় বলেও জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে। এবং তা ক্রমেই মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় মানুষকে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যের অভাব ভারতীয়দের ডায়েটে
গ্লোবাল নিউট্রিশন রিপোর্ট অনুযায়ী, ৭১ শতাংশ ভারতীয় স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করতে পারে না। বিশ্বব্যাপী গড় ৪২ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করেত পারে না। রিপোর্টে স্বাস্থ্যকর খাদ্য বলতে কী বোঝানো হয়েছে। একজন গড় ভারতীয়ের ডায়েটে ফল, শাকসবজি, লেবু, বাদাম এবং শস্যের অভাব রয়েছে। উল্টে মাছ, দুগ্ধজাত খাবার এবং লাল মাংস খাওয়ার প্রবণতা বেশি।
খাদ্যাভ্যাসে ফল ও সবজি গ্রহণের মাত্রা
ভারতে ২০ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন যথাক্রমে ২০০ গ্রাম খাবারের মধ্যে ৩৫.৮ গ্রাম ফল এবং প্রতিদিন ন্যূনতম ৩০০ গ্রামের মধ্যে ১৬৮.৭ গ্রাম সবজি গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু তারা প্রতিদিন মাত্র ২৪.৯ গ্রাম শিম (তাদের দৈনিক লক্ষ্যের ২৫ শতাংশ) এবং প্রতিদিন ৩.২ গ্রাম বাদাম (তাদের দৈনিক লক্ষ্যের ১৩ শতাংশ) গ্রহণ করে।
স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি অনীহা
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের ফলে পরিবেশের উপর ক্রমবর্ধমান চাহিদা তৈরি হচ্ছে। যখন অপুষ্টির অগ্রহণযোগ্য মাত্রা অব্যাহত রয়েছে, তখন স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি অনীহা বা তা লাভ করতে না পারার অসহায়তা গ্রাস করছে ভারতীয়দের। প্রতিবেদনে যোগ করা হয়েছে, "আমাদের বর্তমান পথ চলার মানবিক, পরিবেশগত এবং অর্থনৈতিক খরচগুলি এতটাই তাৎপর্যপূর্ণ যে, আমাদের অনেক বেশি মূল্য দিতে হচ্ছে তা লাভ করতে।
ডাউন টু আর্থ-এর বিশ্লেষণে
ডাউন টু আর্থ-এর সম্পাদক রিচার্ড মহাপাত্র বলেছেন, "আমাদের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় যে ২০২২ সালের মার্চ-এপ্রিল মাসে শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় খাদ্যের দাম বেশি হারে বেড়েছে।" তার ফলে সমস্যা তৈরি হচ্ছে গ্রামীণ এলাকায়। গ্রামের মানুষের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না স্বাস্থ্যকর খাবার করায়ত্ত করা।