ধীর গতিতে হলেও এবার দেশের বড় অংশে প্রববেশ করতে চলেছে বর্ষা। দেশের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম বর্ষা শক্তি অর্জন করতে শুরু করেছে এবং শনিবার মুম্বাই এবং মহারাষ্ট্রের অন্যান্য অংশে বৃষ্টিপাত তারই ইঙ্গিত। আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে গুজরাত, মধ্যপ্রদেশের কিছু অংশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের বড় অংশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে৷ এই জায়গাগুলিতে বর্ষার জন্য পরিস্থিতি অনুকূল হয়ে উঠছে।
দক্ষিন-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর এই শক্তি বৃদ্ধি প্রবল তাপ থেকে দেশের বড় অংশ স্বস্তি প্রদান করবে বলে আগাম বার্তা দিয়েছে আইএমডি৷ গত দু'দিন ধরে মুম্বাই এবং অন্যান্য পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। পুনে, নাসিক এবং আহমেদনগরের কিছু অংশে বজ্রঝড়ের সম্ভাবনাও রয়েছে। মুম্বইয়ে বর্ষা সাধারণত ৯ থেকে ১১ জুনের মধ্যে শুরু হয়। তাই এর অগ্রগতি এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিক। কোঙ্কনের সমস্ত জেলায় গত দুদিন ধরে একটানা মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা আগামী দুই দিনের মধ্যে মহারাষ্ট্রের আরও কিছু অংশে ছড়িয়ে পড়বে বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া অফিস।
জাতীয় আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র, নয়াদিল্লির সিনিয়র বিজ্ঞানী কে জেনামানি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আরও পূর্বে অগ্রসর হয়ে শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ডে ঢুকে পড়বে বর্ষা। ভারতীয় মূল ভূখণ্ডে তার আগমনের পর, বর্ষা মন্থর অগ্রগতির সঙ্গে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে৷ প্রসঙ্গত, ১১ জুন পর্যন্ত সারা দেশের বড় শতাংশের বৃষ্টিপাতের ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছে এবং ৩৮টি উপবিভাগের মধ্যে ২৭টিতে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি রয়েছে।
তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, রায়লসিমা, বিহার, অরুণাচল প্রদেশ এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অংশগুলি অন্তর্ভুক্ত করে মাত্র সাতটি মহকুমায় এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয়েছে। অন্যদিকে অসম, মেঘালয় ও সিকিমে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। আইএমডি-র সর্বশেষ আপডেট অনুসারে দেশের বার্ষিক বৃষ্টিপাতের ৭০ শতাংশ প্রদানকারী দক্ষিণ-পশ্চিমী মৌসুমী বায়ু এখনও মুম্বাই, মধ্য মহারাষ্ট্রের কিছু অংশ, কর্ণাটক, কেরালার আরও কিছু অংশ, সহ কোঙ্কনের বেশিরভাগ অংশকে কভার করেছে। পাশাপাশি, উত্তর সীমা বর্তমানে পুনে, বেঙ্গালুরু, পুদুচেরি এবং শিলিগুড়িতে প্রবেশ করেছে৷