বৃদ্ধদের বোকা বানিয়ে দিনের পর দিন অর্থ উপার্জন করছিল যুবক। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ধরা পড়ে গেলেন পুলিশের হাতে। মার্কিন মুলুকে বসে ভালোই ব্যাবসা ফেঁদেছিলেন ওই ব্যক্তি কিন্তু ধরা পড়ে গিয়েছেন পুলিশের হাতে। দিনের পর দিন এই কাজ করছিলেন এক ভারতীয় যুবক। তাঁকে ধরে ফেলেছে পুলিশ। এমনটাই খবর সূত্রের।
জানা গিয়েছে মার্কিন মুলুকে ভালোই এই আর্থিক কেলেঙ্কারির কাজ চালাচ্ছিল ২৪ বছরের ওই ভারতীয়। তবে মার্কিন ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা ভার্জিনিয়ায় ওই বছর চব্বিশের ভারতীয়কে প্রবীণ নাগরিকদের তার জালে ফেলে দেশজুড়ে আর্থিক কেলেঙ্কারি চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে। জানা গিয়েছে যুবকের নাম অনিরুধা কালকোট। তাঁকে শুক্রবার হিউস্টনে মার্কিন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে অভিযোগের মুখোমুখি করা হয়েছিল। কালকোটের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং মেইল জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়াও অভিযোগে নাম রয়েছে এমডি আজাদ, ২৫, হিউস্টনের একজন অবৈধ বাসিন্দা, যার বিরুদ্ধে ২০২০ সালের আগস্ট মাসে এই একই অভিযোগ আনা হয়েছিল৷ ফের একই কাণ্ডে তবে নতুন অভিযোগে ফের আদালতে হাজির করা হবে বলে তাঁকে বলে খবর মিলেছে৷
অভিযোগ করা হয়েছে যে ভুক্তভোগীরা একাধিকবার তাদের ফাঁদা পাতে পা দিয়েছিলেন এবং টাকা না দিলে জীবন হানির হুমকি দেওয়া হত বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে যে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে, তাদের উভয়ের ২০ বছর পর্যন্ত ফেডারেল জেল এবং সম্ভাব্য আড়াই লক্ষ মার্কিন ডলার জরিমানা হতে পারে। অন্য তিনজন ইতিমধ্যেই এই স্কিমের সাথে জড়িত থাকার জন্য দোষ স্বীকার করেছে এবং শাস্তির জন্য অপেক্ষা করছে । এদের নাম সুমিত কুমার সিং, ২৪, হিমাংশু কুমার, ২৪, এবং এমডি হাসিব, ২৬। তারা ভারতীয় নাগরিক যারা অবৈধভাবে হিউস্টনে বসবাস করেছিল।
অভিযোগ অনুযায়ী, রিংটি বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে শিকারদের প্রতারণা ও প্রতারণা করত এবং ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন বা মানিগ্রামের মতো মানি ট্রান্সমিটার ব্যবসার মাধ্যমে তারের মাধ্যমে অর্থ পাঠানোর নির্দেশ দেয়, উপহার কার্ড কিনে প্রতারকদের সরবরাহ করে বা তার নামে নগদ মেইল করে। ফেডএক্স বা এর মাধ্যমে।
অনুরূপ একটি প্রকল্প কম্পিউটার প্রযুক্তিগত সহায়তা পরিষেবা প্রদানের দাবির সাথে জড়িত। অভিযোগ করা হয়েছে যে ফোনে বা ইন্টারনেট সাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাদের একটি নির্দিষ্ট ফোন নম্বর দেওয়া হত। তারপরে হত মগজধোলাই। পড়ে ঘটনা ওই জায়গায় পৌঁছে যেত।
একবার ভুক্তভোগীরা তাদের সাথে যোগাযোগ করলে, তাদের বিভিন্ন কথা বলা হত। জালিয়াতরা তখন তাদের ব্যক্তিগত ডেটা এবং ব্যাঙ্ক এবং ক্রেডিট কার্ডের তথ্য সমস্ত জেনে নিত, তারপর হাতিয়ে নিত টাকা।