বিক্ষোভকে সমর্থন নয় জামা মসজিদের ইমামের!
দিল্লি, কলকাতা, প্রয়াগরাজ সহ দেশের একাধিক রাজ্যে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে৷ জামা মসজিদের বাইরেও এদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়েছিলেন প্রতিবাদ জানাতে৷ জামা মসজিদের শাহী ইমাম বলেন, মসজিদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদের ডাক দেওয়া হয়নি। আমরা জানি না কারা প্রতিবাদ করছে। আমি মনে করি তারা এআইএমআইএমের অথবা ওয়েইসির লোক। আমরা এটা পরিষ্কার করে দিয়েছি যে তারা প্রতিবাদ করতে চাইলে করতে পারে, কিন্তু আমরা তাদের সমর্থন করব না।'
নূপুরের ক্ষমা চাওয়া বা বহিষ্কারে মিটছে না ক্ষোভ!
নূপুর শর্মা ও আর এক বিজেপি নেতা জিন্দালকে ইতিমধ্যেই একজনকে বরখাস্ত ও অন্যজনকে পদ থেকে সরিয়ে শাস্তি দিয়েছে বিজেপি৷ নূপুর শর্মা তাঁর বক্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়েছে৷ কিন্তু বিক্ষোভকারীরা নূপুর শর্মাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে, অনেক জায়গাতে বিক্ষোভ থেকে নূপুর শর্মার ফাঁসির দাবিও করা হচ্ছে৷
পার্কসার্কাস থেকে হাওড়ার অঙ্কুরহাটি একাধিক জায়গায় অবরোধ বিক্ষোভ বঙ্গে!
কলকাতায়ও পার্কসার্কাস থেকে গার্ডেনরিচ অনেকটি জায়গাতে নমাজের পর নূপুর শর্মাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে পোস্টার ইত্যাদি নিয়ে নামাজের প্রতিবাদ জানাতে পথে নেমেছেন মুসলিমরা৷ বৃহস্পতিবার এই একই ইস্যুতে হাওড়ার অঙ্কুরহাটি সংলগ্ন জাতীয় সড়ক অবোরোধ করে রাখে উন্মত্ত জনতা৷ রাস্তার মাঝে জ্বালানো হয় টায়ারও৷ সকাল ১০ টা থেকে রাত্রি প্রায় ৮ পর্যন্ত চলেছিল অবরোধ৷ যার জেরে কয়েক কিলোমিটার লম্বা ট্রাফিক অবরুদ্ধ হয়৷
উত্তরপ্রদেশে অনুমতি ছাড়াই বিক্ষোভ করা লোকেদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা!
সেন্ট্রাল দিল্লির ডিএসপি শ্বেতা চৌহান জানিয়েছেন, 'জুমার নামাজের জন্য প্রায় ১৫০০ লোক জামা মসজিদে জড়ো হয়েছিল। নামাজের পরে, প্রায় ৩০০ জন বেরিয়ে এসে নূপুর শর্মা এবং নবীন জিন্দালের মন্তব্যের প্রতিবাদ শুরু করে!' অন্যদিকে এরকমই একটি জমায়েতে মোরাদাবাদে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়৷ পুলিশ লাঠি চার্জ করলে ভিড়কে পালিয়ে যেতে দেখা যায়।
ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচিতেও নূপুর শর্মার বক্তব্যের বিরোধী বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়েছে, এতে কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছে। ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে, কয়েকশ লোক অনুমতি ছাড়াই বিক্ষোভ করতে জড়ো হয়েছিল। ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। বিমা অনুমতিতে জমায়েতকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে যোগীর পুলিশ৷