চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মেধা তালিকার প্রথম দশে ২৭২ জন। প্রথম স্থানাধিকারী কোচবিহারের দিনহাটা সোনিদেবী জৈন হাই স্কুলের ছাত্রী অদিশা দেবশর্মা। তিনি ৯৯.৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানাধিকারী পশ্চিম মেদিনীপুরের জলচক নটেশ্বরী নেতাজি বিদ্যায়তনের সায়নদীপ সামন্ত, তিনি ৯৯.৪ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। অদিশার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৮, সায়নদীপের ৪৯৭।
মেধা তালিকার প্রথম দশে ২৭২ জনের মধ্যে ছাত্র ১৪৪ জন ও ছাত্রী ১২৮ জন। তৃতীয় স্থানাধিকারী চারজন। প্রত্যেকেই পেয়েছেন ৪৯৬, তাঁরা হলেন হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের সোহম দাস, কাটোয়া কাশীরাম দাস ইনস্টিটিউশনের অভীক দাস, পশ্চিম মেদিনীপুরের পরিচয় পারি ও কলকাতা পাঠভবনের রহিন সেন। ৪৯৫ পেয়ে চতুর্থ স্থানে ৮ জন। উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম অদিশা জানিয়েছেন, মাধ্যমিকে তিনি পেয়েছিলেন ৬৭৮। ভালো রেজাল্ট হবে জানতাম। এতটা ভালো হলো, এটা আশাতীত। ভালোবাসার বিষয়গুলি পেয়েছিলাম। বাবা, মা, শিক্ষক-সহ সকলে প্রেরণা জুগিয়েছেন। প্রথম হওয়ার চাপ ছিল না। সকলেই বলেছিলেন ভালো রেজাল্ট হলেই চলবে। স্কুলের শিক্ষকরাও খুব সহযোগিতা করেছেন। লকডাউনে অনলাইন ক্লাসেও শিক্ষক-শিক্ষিকারা যেভাবে পড়িয়েছেন তা অসাধারণ। টিউশন ছাড়া দিনে ৪-৫ ঘণ্টা পড়েছি। ৯ জন গৃহশিক্ষকের কাছে পড়েছেন অদিশা। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পাশাপাশি ভবিষ্যতে পথশিশুদের জন্য কিছু করতে পারলে ভালো লাগবে বলে জানান অদিশা।
পরীক্ষা শেষের ৪৪ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ হলো। বেলা ১২টা থেকে ফল দেখা যাবে ওয়েবসাইটে। রোল নম্বর দিলেই ফল জানা যাবে। ২ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছিল। রেকর্ড সময়ে ফল করল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। ২০ জুন থেকে মার্কশিট বিলি করা হবে। ২০ জুন ৫৬টি বিতরণ কেন্দ্র থেকে বিদ্যালয়ের অনুমোদিত প্রতিনিধির হাতে মার্কশিট ও সার্টিফিকেট। সেদিনই পরীক্ষার্থীরা পেয়ে যাবেন।
২০২৩ সালে ভোকেশনাল বিষয় বেড়ে হচ্ছে ১৩। ২০ জুন মধ্যরাত থেকে অনলাইনে পিপিএস ও পিপিআর ৫ জুলাই মধ্যরাত অবধি। এনরোল করা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে পরীক্ষায় বসেছেন ৯৬.৮ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী। সাতটি জেলায় পাশের হার ৯০ শতাংশ বা তার বেশি। জেলাগুলি হলো - পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম পুরুলিয়া, কালিম্পং, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুডা। ১৪ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পরের বছর পরীক্ষা হবে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে। হোম ভেন্য়ুতে পরীক্ষা হবে না।