দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে প্রথম টি ২০ আন্তর্জাতিকে ভারতকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। রবিবার কটকে দ্বিতীয় টি ২০ আন্তর্জাতিক। তার আগে আজই দিল্লি থেকে ভুবনেশ্বরে পৌঁছে গেল ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। টিকিট নিঃশেষিত। কটকে ২০১৭ সালের পর এই প্রথম ভারত কোনও টি ২০ আন্তর্জাতিক খেলবে। ফলে ক্রিকেট উন্মাদনার পারদ চড়তে শুরু করেছে।
আজ দুপুর ২টো নাগাদ ভুবনেশ্বরের বিজু পট্টনায়ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা দল। ওডিশা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা দুই দলকেই স্বাগত জানান। বিমানবন্দর এবং সেখান থেকে টিম হোটেল পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে অপেক্ষা করছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। টিম বাসে করেই সোজা হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয় দুই দলকে। টিকিট বিক্রিকে কেন্দ্র করে কটকে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। পুলিশ নিয়ন্ত্রণে আনে পরিস্থিতি। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওডিশা পুলিশের ডিজি এস কে বনশল। ওসিএ সচিব সঞ্জয় বেহরা জানিয়েছেন, অনলাইন আর অফলাইনে কোনও টিকিট পড়ে নেই। ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ককে খেলা দেখতে আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ ছাড়াও বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ কটক ম্যাচ দেখতে হাজির থাকবেন।
কটকে ভারত দুটি টি ২০ আন্তর্জাতিক খেলেছে। ২০১৫ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত ১৭.২ ওভারে মাত্র ৯২ রানে অল আউট হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। প্রোটিয়ারা ম্যাচ জিতে নেয় ৬ উইকেটে। এরপর ২০১৭ সালে ভারত কটকে শ্রীলঙ্কাকে হারায় ৯৩ রানে। রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারত ৩ উইকেটে ১৮০ রান করেছিল। জবাবে ১৬ ওভারে শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে গিয়েছিল ৮৭ রানে। যুজবেন্দ্র চাহাল ২৩ রানে চার উইকেট নিয়েছিলেন। হার্দিক পাণ্ডিয়া নিয়েছিলেন ৩ উইকেট।
গতকাল ২১১ রান তুলেও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে গিয়েছে ভারত। এই প্রথম টি ২০ আন্তর্জাতিকে ২০০-র বেশি রান তুলেও হারতে হয়েছে মেন ইন ব্লুকে। তার মধ্যে ঈশান কিষাণের ব্য়াটিং ও অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ডিয়ার কামব্যাক ইতিবাচক বলে চিহ্নিত করেছেন সুনীল গাভাসকর। তবে ঋষভ পন্থের অধিনায়কত্বে খুশি নন জাহির খান। চাহাল গতকাল ২.১ ওভারে ২৬ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি। শেষ ওভারে তাঁকে নিজের তৃতীয় ওভারটি করতে ডাকেন পন্থ। জাহিরের কথায়, যুজবেন্দ্র চাহালকে তাঁর কোটার পুরো চার ওভার করানো উচিত ছিল ঋষভ পন্থের। এই বিষয়টি ভাবা দরকার টিম ম্যানেজমেন্টেরও। চাহাল নিজের খারাপ দিনেও কামব্যাক করে উইকেট তুলে নিতে পারেন। সেটা আমরা আগেও দেখেছি। চাহালকে ডেকে উইকেট ফেলতে পারলে নতুন ব্যাটারকে নামতে হতো। ফলে ভারত জিততেও পারতো। অবশ্য সেই সিদ্ধান্ত পন্থের হাতেই ছিল বলে খোঁচা জাহিরের।