একাধিক ফ্ল্যাট, লক্ষাধিক মুল্যের সোনা! কেষ্টার দেহরক্ষীর সম্পতি চমকে দিচ্ছে সিবিআইকেও

গরু পাচার-কাণ্ডে সিবিআইয়ের জালে অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষী! বৃহস্পতিবার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আয় বহির্ভূত সম্পত্তির যে সব অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে এবং তিনি যে বয়ান দিয়েছেন, তাতে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে বেনামি একাধিক সম্পত্তি সায়গলের নামে রয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। আর এরপরেই নিজেদের হেফাজতে নিয়ে দেহরক্ষী সায়গলকে জেরা করতে চায় সিবিআই। আর এমনটাই দাবি আসানসোল আদালতে সিবিআই জানাতে চলেছে বলে খবর।

নিউ টাউনে একাধিক ফ্ল্যাট

রাজ্য সরকারি কর্মী হয়েও বিপুল সম্পত্তির অধিকারী সায়গল। কিন্তু কীভাবে? সেটাই ভাবাচ্ছে সিবিআইকে। বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতারের পরেই বিভিন্ন জায়গাতে হানা দেয় সিবিআই। রাজারহাট এলাকাতেও হানা দেন তদন্তকারীরা। সেখানে অন্তত তিনটি ফ্ল্যাটের হদিশ কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা পেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তিনটি ফ্ল্যাটের একটি স্ত্রীয়ের নামে রয়েছে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বাড়ির পরিচারিকার নামেও রাজারহাটের মতো জায়গাতে ফ্ল্যাট সায়গল কিনেছিলেন বলে জানতে পেরেছে।

প্রচুর সোনাও উদ্ধার হয়েছে

রাতেই সেই সমস্ত ফ্ল্যাটে তদন্তকারীরা যান বলে জানা যাচ্ছে। সেখানে হানা দিয়ে একাধিক নথি সিবিআই বাজেয়াপ্ত করেছে বলে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রচুর সোনাও উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যার আনুমানিক মূল্য লক্ষধিক টাকা বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিপুল সম্পত্তি কীভাবে তৈরি করলেন সে বিষয়ে দফায় দফায় সায়গলকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। কিন্তু তাঁর দেওয়া উত্তরে মোটেই খুশি হচ্ছেন না আধিকারিকরা। সম্পত্তির তৈরির পিছনে বড়সড় কেলেঙ্কারি আছে বলেই দাবি সিবিআইয়ের।

ডোমজুড়েও বিশাল বাড়ি

ডোমকল পুরসভা এলাকার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে সায়গল হোসেনের বাড়ি। বাবা এসআইতে কর্মরত ছিলেন। কিন্ত্যু হঠাত করেই বাবা'র মৃত্যুর পর সেখানে চাকরি পান সায়গল। আর এরপরেই ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করে নাকি সায়গলের আর্থিক পরিস্থিতি। এমনকি অনুব্রত মন্ডলের সঙ্গে থাকাকালীন সম্পত্তি আরও ফুলে ফেপে ওঠে বলে দাবি তদন্তকারীদের। ইতিমধ্যে ডোমজুড়ে বিশাল বাড়ি সায়গলের। সেখানেও যদিও হানা দিয়েছিল সিবিআই। কয়েক ঘন্টা ধরে তল্লাশি চালানো হয় সেখানে। একাধিক নথিও সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

আয়ের সঙ্গে হিসাব নেই-

ইতিমধ্যে অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষীর আয়-ব্যায়ের হিসাব দেখেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। যা দেখে তদন্তকারীদের দাবি, আয় ব্যায়ের কোনও হিসাবই মিলছে। এমনকি ব্যাঙ্কের তথ্যেও বেশ কিছু গড়মিল রয়েছে বলে দাবি। মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে বলেই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

More ANUBRATA MONDAL News  

Read more about:
English summary
know the amount of property of Anubrata Mondal's bodyguard Sehegal