রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়ে এবং প্রথম ইনিংসে ৪৭৫ রানের লিড নিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছিল বাংলা। বেঙ্গালুরুতে কোয়ার্টার ফাইনালে ঝাড়খণ্ডকে ফলো অন না করিয়ে, শক্তিশালী মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল ম্য়াচের আগে ব্যাটিং অনুশীলন সেরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় অভিমন্যু ঈশ্বরনের দল। আর তাতেই মন্ত্রী হিসেবে অনন্য নজির গড়লেন মনোজ তিওয়ারি। দুরন্ত শতরান হাঁকিয়ে।
এই প্রথম কোনও রাজনীতিবিদ তথা মন্ত্রী প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে শতরান পেলেন। বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী। প্রথম ইনিংসে তিনি ১৭৩ বলে ৭৩ রানের ইবিংস খেলেছিলেন। পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন। এরপর আজ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কেরিয়ারের ২৮তম শতরানটি পেলেন। গতকাল দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার স্কোর ছিল ৩১ ওভারে ৩ উইকেটে ৭৬। অনুষ্টুপ মজুমদার ২২ ও মনোজ তিওয়ারি ১২ রানে ক্রিজে ছিলেন। আজ দ্বিতীয় ইনিংসের ৭২ ওভারের প্রথম বলে শতরান পূর্ণ করেন মনোজ। ১৫২ বলে শতরান পূর্ণ করার পর তিনি রান আউট হন ব্যক্তিগত ১৩৬ রানে। ১৮৫ বলের ইনিংসে ছিল ১৯টি চার ও দুটি ছয়।
1⃣0⃣0⃣ up for Manoj Tiwary as Bengal move closer to 240 in the second innings. #RanjiTrophy | #QF1 | #BENvJHA | @Paytm
— BCCI Domestic (@BCCIdomestic) June 10, 2022
Follow the match ▶️ https://t.co/UDFkFRkMjB pic.twitter.com/L65QSkUgu8
গতকাল অভিষেক রামন ২২, অভিমন্য়ু ঈশ্বরন ১৩ ও সুদীপ ঘরামি ৫ রানে আউট হয়েছিলেন। ৫২ রানে পড়েছিল তৃতীয় উইকেট। আজ বাংলা চতুর্থ উইকেট হারায় ১২৯ রানের মাথায়। অনুষ্টুপ ফেরেন ৭৪ বলে ৩৮ রান করে। অভিষেক পোড়েল ৬১ বলে ৩৪ ও শাহবাজ আহমেদ ৫১ বলে ৫৬ রান করেন। ৮৫.১ ওভারে ৭ উইকেটে ৩১৮ রান করে দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করেছে বাংলা। আকাশ দীপ ১৫ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। এরপর আর ঝাড়খণ্ড ব্যাট করতে নামেনি। ফলে ম্যাচটি ড্র হয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে শাহবাজ নাদিম ৫৯ রানের বিনিময়ে পাঁচটি উইকেট নেন। অনুকূল রায় পেয়েছেন একটি উইকেট।
রঞ্জি সেমিফাইনাল শুরু ১৪ জুন থেকে। মুম্বই মুখোমুখি হবে উত্তরপ্রদেশের। বাংলার সামনে মধ্যপ্রদেশ। এবারের রঞ্জি নক আউট পর্বের আগে বাংলার কিছুটা চিন্তা ছিল ব্যাটিং নিয়ে। কিন্তু দুই ইনিংসেই যেভাবে ব্যাটিং করল বাংলা তাতে মধ্যপ্রদেশের মতো শক্তিশালী দলের মুখোমুখি হওয়ার আত্মবিশ্বাস বাড়ল ব্যাটারদের। বোলাররাও ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে তিনশোর কমে বেঁধে ফেলেন ঝাড়খণ্ডকে। বিরাট সিংয়ের অপরাজিত ১১৩ ও নাজিম সিদ্দিকির ৫৩ রান ছাড়া ঝাড়খণ্ডের কেউই বলার মতো রান পাননি। শাহবাজ আহমেদ ও সায়নশেখর মণ্ডল চারটি করে উইকেট দখল করেন।