রাজ্যসভার ভোটে কে কাকে টেক্কা দেবে, কে করবেন বাজিমাত, তার অপেক্ষায় যখন প্রহর গোনা শুরু হয়েছে, তখনই কংগ্রেস ও বিজেপির ক্রস ভোটিংয়ের দ্বন্দ্ব গড়াল নির্বাচন কমিশনে। জমজমাট নাটক রাজস্থান ও হরিয়ানার রাজ্যসভার ভোটকে কেন্দ্র করে। বিজেপি ভোট বাতিলের দাবিতে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল। পাল্টা কংগ্রেসও কমিশনের দুয়ারে।
শুক্রবার রাজ্যসভার মোট ১৬টি রাজ্যসভা আসনে ভোট নেওয়া হয়েছিল। সন্ধ্যার পরই প্রতীক্ষিত ফলাফল আসবে, এমনটাই নির্ধারিত ছিল। কিন্তু দিনভর জমজমাট নাটকের শেষে ফল এখনও বিলম্বিত। দুই রাজ্যের দুই নির্দল প্রার্থীকে নিয়েই নাটক উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছয়। দুই মিডিয়া ব্যারন দুই রাজ্যে প্রার্থী হয়েছেন। তাঁদের সমর্থন করেছেন বিজেপি।
এখন উভয়েরই জয়-পরাজয় নির্ভর করে রয়েছে ক্রস ভোটিংয়ের উপর। জি মিডিয়ার কর্ণধার সুভাষ চন্দ্র ও নিউজ এক্সের কর্ণধান কার্তিকেও শর্মা যথাক্রমে রাজস্থান ও হরিয়ানা থেকে প্রার্থী হয়েছেন। এদিন ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর দুই কংগ্রেস বিধায়কের ভোট হাতিল করতে হবে- এই দাবি তুলে বিজেপি কমিশনের দ্বারস্থ হয়।
বিজেপির দাবি, কংগ্রেসের দুই বিধায়ক দলের এজেন্ট ছাড়াও নিজের ব্যালট দেখিয়েছেন অন্যদেরও। রাজ্যসভার ভোটের নিয়ম ব্যালট পেপারে ব্যালট বক্সে ফেলার আগে তা দলের এজেন্টকে দেখাতে হয়। তব্ তা অন্য কাউকে দেখানো যাবে না। কিন্তু কংগ্রেসের দুই বিধায়ক অন্যদেরও দেখিয়েছেন ওই ব্যালট পেপার। তাই তাঁদের বোট বাতিলের দাবি তোলে বিজেপি।
আর রাজস্থানে এক বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে কংগ্রেসে ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই ভোটও বাতিলের দাবি জানায় বিজেপি। আবার কর্নাটকে জেডিএসের এক বিধায়ক প্রকাশ্যের কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন বলে দাবি করেন। তা নিয়েও শোরগোল শুরু হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিজেপির দাবি খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশনার।
রাজস্থানে বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী সুভাষ চন্দ্রকে জিততে গেলে বিপক্ষ শিবিরের ১৫টি ভোট ভাঙিয়ে আনতে হবে। আর হরিয়ানায় কার্তিকেও শর্মাকে জিততে গেলে ১১টি কংগ্রেস ভোট দরকার। এমন কোনও রাজনৈতিক পরিস্থিতি হয়নি এবার। যাতে ক্রস ভোটিংয়ের জেরে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলকে ধাক্কা দিতে পারে বিজেপি। উল্টে বিজেপির বিধায়কের ভোট কংগ্রেসের দিকে এসেছে। এই সম্ভাবনা থেকেই বিজেপি কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে। কংগ্রেসও পাল্টা দিয়েছে বিজেপিকে। তারা কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে বিজেপির দাবি নস্যাৎ করেছে। কংগ্রেসের অজয় মাকেন জানিয়েছেন বিজেপি নোংরা রাজনীতির খেলা শুরু করেছে। এখানে উল্লেখ্য, রাজস্থানের ট্রাইবাল পার্টির ভোটও কংগ্রেস পেয়েছে।