নবী বিতর্কে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড়! এমনকি এহেন মন্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করা হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। ইতিমধ্যে একাধিক দেশ ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে এহেন ঘটনার তীব্র বিরোধীতা করেছেন। প্রবল চাপের মুখে অবশেষে বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মাকে বহিস্কার করা হয়েছে। কিন্তু এরপরেও যেন থামছেন বিতর্ক।
আর এর মধ্যেই নুপুর শর্মার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেন কয়েক মানুষ। জানা যাচ্ছে, দিল্লির জামা মসজিদের বাইরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। শুধু তাই নয়, নুপুর শর্মাকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবিও জানানো হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়।
তবে এই প্রসঙ্গে জামা মসজিদের শাহি ইমাম বলেন, মসজিদে বিরোধ বড় ব্যাপার। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথাও জানিয়েছেন ইমাম।
আজ শুক্রবার জামা মসজিদে নওয়াজ ছিল। আর এরপরেই বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মা এবং নবীন জিন্দলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রতিবাদে সামিল হল সংখ্যালঘু মানুষজন। কয়েকশ মানুষ জোড়ো হয়ে যান। আর লাগাতার বিজেপি নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। এমনকি গ্রেফতারের দাবিও তাঁরা জানাতে থাকেন।
#WATCH People in large numbers protest at Delhi's Jama Masjid over inflammatory remarks by suspended BJP leader Nupur Sharma & expelled leader Naveen Jindal, earlier today
— ANI (@ANI) June 10, 2022
No call for protest given by Masjid, says Shahi Imam of Jama Masjid. pic.twitter.com/Kysiz4SdxH
শুধু দিল্লির জামা মসজিদই নয়, দেশের বিভিন্ন অংশেও আজ বিজেপি নেত্রীর মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। এমনকি কলকাতাতেও এদিন মন্তব্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান সংখ্যালঘু মানুষজন।
অন্যদিকে দিল্লি পুলিশের তরফে বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মা এবং নবীন জিন্দলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। খুব শিঘ্রই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে এদিন বিক্ষোভ ঘিরে বিভিন্ন জায়গাতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমস্ত জায়গাতেই একেবারে পুলিশ আঁটসাঁট নিরাপত্তা করেছে।
বিশেষ করে গত শুক্রবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল কানপুর। ঘটনায় আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজনও। এমনকি একের পর এক গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে এই মুহূর্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কিন্তু কোনও ভাবে পুলিশের তরফে রিস্ক নেওয়া হচ্ছে না।
আর তাই আজ শুক্রবার, ১০ জুন কানপুর শহরে শুক্রবারের নমাজকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়েছে। ১৪৪ ধারা হল চারজনের বেশি কেউ জমায়েত হতে পারবে না। এছাড়াও বিশাল পুলিশবাহিনীও মোতায়েন রয়েছে এলাকায়।
তবে এই বিতর্কের মধ্যেই মুখ খুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিলম্বে অভিযুক্ত দুই বিজেপি নেতার গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। বলেছেন, তাঁদের জন্যে একমাত্র নিরাপদ জায়গা তিহার জেলে। একই সঙ্গে সমস্ত মানুষকে শান্তি রাখার আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।