আতঙ্ক এখনও পুরোপুরি কাটেনি। করোনা ভাইরাস ফের মাথাচাড়া দিয়ে যে উঠছে তা বৃহস্পতিবারের কোভিড গ্রাফ দেখেই বোঝা গেল। রাজ্যর স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, এদিন একদিনে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছে ৯৫ জন। এই নিয়ে সব মিলিয়ে রাজ্যে অ্যাক্টিভ করোনা কেসের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫১৭।
বুধবার রাজ্যে করোনা পজিটিভের সংখ্যা ছিল ৮৫ এবং মঙ্গলবার ছিল ৬১। বৃহস্পতিবার এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়েছে করোনা পজিটিভের সংখ্যা। তবে গত তিনদিনে করোনা ভাইরাসে কারোর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার করোনায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৭ জন। এই নিয়ে মোট সুস্থতার সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৯,৯৮,২০৫ জন। রাজ্যে সুস্থতার হার ৯৮.৯২ শতাংশে রয়েছে।
রাজ্যের যখন এই হাল তখন আর এক রাজ্য মহারাষ্ট্রেও করোনার চোখ রাঙানি ফের দেখা গিয়েছে। বুধবার মহারাষ্ট্রে ২৭০১টি নতুন করোনা সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়েছে ৷ শুধুমাত্র মুম্বইতে শেষ ২৪ ঘন্টায় ১৭৬৫ জনের করোনা সংক্রমণের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে ৷ তবে বুধবার পর্যন্ত টানা তিনদিন এ রাজ্যে করোনায় কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, দেশে করোনার উর্ধ্বমুখী গ্রাফ দেখে অনেকদিন আগেই মাস্ক ও করোনা বিধি বাধ্যতামূলক করেছিল দিল্লি ৷ এবার সারা দেশে বিমানবন্দর ও বিমানে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হল৷ ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) বুধবার বিমানবন্দর এবং বিমানের জন্য নতুন নিয়ম জারির কথা ঘোষণা করেছে।
এক লাফে ৭ হাজার পেরিয়ে দৈনিক সংক্রমণ, চার রাজ্যকে সতর্ক করল কেন্দ্র
বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গে ৪০,৩০৩ জন করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে। করোনার বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসাবে এই ভ্যাকসিন নেওয়া খুবই জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হঠাৎ করেই বেড়ে গিয়েছে দেশে। মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্নাটক এবং দিল্লি এই চার রাজ্যকে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।