কী নিয়ে বিতর্ক?
সম্প্রতি ভারতীয় জনতা পার্টির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মা একটি টিভি-বিতড়ক অনুষ্ঠানে নবী মুহাম্মদ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। নূপুর শর্মার বক্তব্যের বিরোধিতা করার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে সরাসরি খুনের হুমকি দিয়েছে বেশ ইসলামিক সংগঠন ও নেতা। এই সব বিতর্কের মাঝেই, বুধবার প্রাক্তন কংগ্রেস প্রধান রাহুল গান্ধী দাবি করেছেন যে বিজেপি দলটির মূলেই রয়েছে বিতর্ক ও ঘৃণা! বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আগের বক্তব্যর উল্লেখ করে নিজের বক্তব্যের প্রমাণ দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। একটি টুইটে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এবং লোকসভা সদস্য সাধ্বী প্রজ্ঞার অতীতের কিছু বিবৃতি উল্লেখ করেছেন রাহুল।
কি বলছেন কংগ্রেস মুখপাত্র?
তবে এখানেই শেষ নয় দেশের 'দ্য গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির' অফিসিয়াল বক্তব্যে মুখপাত্র পবন খেরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'শ্মশান-কবরস্তান' সংক্রান্ত অতীত বিবৃতি এবং দেশের মানুষকে পোশাক দ্বারা চিহ্নিত করার কথা উল্লেখ করেছেন। দেশে চলা বর্তমান বিতর্কে নিয়ে মোদীর চুপ থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস মুখপাত্র। কংগ্রেস আরও প্রশ্ন তুলেছে যে, কেন ভারতীয় দূতাবাসগুলি রাজনৈতিক দল বিজেপির প্রেস রিলিজ শেয়ার করছে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দলটি সমস্ত ধর্মকে সম্মান করার বিষয়ে এখন প্রেস রিলিজ করছে, এখন মুখপাত্র নূপুর শর্মা এবং মিডিয়া কনভেনড নবীন কুমার জিন্দালকে বরখাস্ত করছে ঠিকই, কিন্তু এই লোকরাই এতদিন বিজেপিতে থেকে এই সব বিতর্কিত মন্তব্য করে গিয়েছে!
বিজেপি নেতাদের পুরনো বিতর্কিত বক্তব্য সামনে আনছে কংগ্রেস!
এরপর কংগ্রেসের তরফ টুইট করে তুলে ধরা হয়েছে, অতিম শাহ, যোগী আদিত্যনাথ, অনুরাগ ঠাকুর এবং শ্রীমতি প্রজ্ঞার বিতর্কিত বক্তব্যের সংবাদ শিরোনাম৷ কংগ্রেস নেতার রাহুল গান্ধীর টুইট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন, যেখানে লেখা হসেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশী অভিবাসীদের 'দিমক' (উইপোকা) বলে উল্লেখ করেছেন৷ সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একসময়ের বক্তব্য বলে একটি সংবাদপত্রের খবর প্রচার করেছে কংগ্রেস, যেখানে ছবিতে দেখা যাচ্ছে যোগীর বক্তব্য, 'নারীরা স্বাধীন থাকতে সক্ষম নয়'। এছাড়াও অনুরাগ ঠাকুরকে উদ্ধৃত করা হয়েছে, 'দেশ কে গদ্দারোঁ কো, গলি মারো সালোঁ কো' বক্তব্যের কারণে ৷ মহাত্মা গান্ধী হত্যাকারী নাথুরাম গডসে সম্পর্কে স্বাধ্বী প্রজ্ঞার মন্তব্যও উল্লেখ করেছে কংগ্রেস৷