পর পর তিনটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচে হারের পর এএফসি এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচে কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে জয়, ফিল গুড পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছে ভারতীয় ড্রেসিংরুমে। বৃহস্পতিবার রিপোভারি সেশনে টিম হোটেলে হালকা মুডে পাওয়া গেল গোটা দলকে।
পর পর তিন ম্যাচে হারের চাপ কাটিয়ে দল জয়ে ফেরায় স্বস্তি পেয়েছে ইগর স্টিম্যাচও। তাঁর জন্য এএফসি এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত বাছাই পর্ব অগ্নিপরীক্ষার থেকে কোনও অংশে কম নয়। ক্রোয়েশিয়ার এই কোচের চাকরি থাকা না থাকার অনেকটাই নির্ভর করছে ভারতের ফলাফলের উপর। সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের মিডিয়া টিমকে এ দিন তিনি বলেছেন, "দলের প্রত্যেককে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি ওদের থেকে দু'টো জিনিস চেয়েছিলাম- ক্লিন শিট এবং গোল। আমি আরও খুশি হতাম যদি আমরা আরও গোল করতে পারতাম। তবে, আমি খুশি এবং আত্মবিশ্বাসী আগামীর জন্য।"
ভারত চূড়ান্ত বাছাই পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে ১১ জুন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে খেলবে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। আফগান দলটি নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকং-এর বিরুদ্ধে পরাজিত হয়েছে ২-১ ব্যবধানে। কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে ভারত গোল সংখ্যা বাড়ানোর যে সুযোগগুলি নষ্ট করেছে তা তুলে ধরে স্টিম্যাচ বলেছেন, "৪-০ ব্যবধানে ম্যাচটি জিতলে তা ঠিকঠাক ফলাফল হতো। আমরা অনেকগুলো পরিষ্কার সুযোগ পেয়েছি। তবে, আমাদের প্রশংসা করতেই হবে সুনীলের। আমি লিস্টন, উদান্তা, আশিক, সাহালের থেকেও গোল আশা করি- ওদেরও গোল করা শুরু করতে হবে। প্রতিটা ম্যাচ ভিন্ন ভিন্ন জিনিস নিয়ে আসে- খেলোয়াড়রা কী ভাবে মানিয়ে নিতে পারে সেটাই বড় বিষয়। আমি আশা করি আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে অন্যরমক হবে।"
কোচের কথারই প্রতিধ্বনী শোনা যায় ভারতীয় দলের অধিনায়ক এবং কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে জোড়া গোল করা সুনীল ছেত্রীর গলায়। তিনি বলেন, "আমরা ক্লিনশিট রাখতে পেরেছি, এটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমরা আরও ভাল করতে পারতাম। আমরা ভিডিও দেখব এবং ফাঁক ফোকরগুলো শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করব। নতুন ফরম্যাট অনুযায়ী প্রত্যেকটা দলের বিরুদ্ধে একটা করে ম্যাচ, ফলে ভুলভ্রান্তির করার জায়গা খুব কম।" তবে, এই ম্যাচ থেকে পুরো পয়েন্ট আসায় গোটা দলের মতোই তিনিও যে খুশি তা আড়াল করেননি সুনীল। জাতীয় দলের অধিনায়ক বলেছেন, "জয় দিয়ে যোগ্যতা অর্জনকারী পর্ব শুরু করাটা বড় ব্যাপার। একেবারেই সহজ ছিল না, আদ্রতা বেশি ছিল।"
জাতীয় দলের তরুণ সদস্য সুরেশ, আকাশ, রোশন, আনওয়ারদের প্রশংসা এ দিন শোনা গিয়েছে স্টিম্যাচের গলায়। তনি বলেছেন, "ভয়ডরহীন ফুটবলার আরও প্রয়োজন আমাদের দলে, যারা কোনও কিছুকেই ভয় করে না। সুরেশ, আকাশ, রোশন, আনওয়ার- এরা প্রত্যেকেই আমাদের গুপ্ত অস্ত্র। এটা প্রত্যেকেই ভয়হীন এবং এদের জাতীয় দলে প্রয়োজন।"