একাকী বিয়ে
ভারত প্রথমবার এই 'একাকী' বিয়ের সাক্ষী থাকল। ভদোদরার বাসিন্দা ক্ষমা গায়ে হলুদ থেকে শুরু করে মেহেন্দি, বিয়ের সব রীতি মানলেন। ক্ষমা বিন্দুর ১১ জুন বিয়ে করার কথা থাকলেও তাঁর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র প্রতিবাদ জানান বিজেপি নেত্রী এবং তিনি এও জানান যে মন্দিরে ক্ষমা বিন্দুর বিয়ে তিনি হতে দেবেন না। তাই ক্ষমা বিন্দু বিতর্ক এড়াতে ৯ জুন বাড়িতেই বিয়ের আয়োজন করেন।
ক্ষমা বিন্দু সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন
বিয়ের পর ক্ষমা বিন্দু একটি ভিডিও বার্তায় সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং তাঁর পাশে থাকার জন্য তাঁকে সমর্থন করার জন্য তিনি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। ক্ষমা ফেসবুকে বলেন, 'আমি প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা আমাকে মেসেজ করেছেন এবং আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং আমি যাতে বিশ্বাস করি তার জন্য লড়াই করার শক্তি দিয়েছেন।'
একক বিয়ে নিয়ে প্রতিবাদ
'একক' বিয়ে রাজনৈতিকবিদদের কাছ খুব বড় বিষয় হয়ে দাঁড়ায় এবং তাঁরা এটা নিয়ে চর্চা শুরু করেন। এক বিজেপি নেতা জানান যে এই ধরনের বিয়ে হিন্দুত্বের বিরুদ্ধে এবং ক্ষমাকে মন্দিরে বিয়ে করতে দেওয়া যাবে না। কংগ্রেস নেতা মিলিন্দ দেওরা এই ধরনের বিয়েকে পাগলামি বলেছেন। তবে বিরোধীতার পাশাপাশি ক্ষমা অনেক জায়গা থেকে সমর্থনও পেয়েছেন।
কে এই ক্ষমা বিন্দু
ক্ষমা বিন্দু ভদোদরার এক তরুণী, যিনি নিজেকে নিজে বিয়ে করেন এবং দেশে প্রথমবার এ ধরনের 'একক' বিয়ে সম্পন্ন হল। ক্ষমা একজন উভকামী। ক্ষমা সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক করেছেন এবং বর্তমানে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে সিনিয়র রিক্রুটমেন্ট অফিসার হিসেবে কাজ করছেন। তার বাবা-মা দুজনেই ইঞ্জিনিয়ার। ক্ষমা এই বিয়ে নিয়ে বলেন, 'স্ব-বিবাহ হল নিজের জন্য সেখানে থাকার প্রতিশ্রুতি এবং নিজের জন্য নিঃশর্ত ভালবাসা। এটি স্ব-গ্রহণযোগ্যতার একটি কাজও। মানুষ যাকে ভালোবাসে তাকে বিয়ে করে। আমি নিজেকে ভালোবাসি তাই এই বিয়ে করেছি।'