মহিলা সাইক্লিস্টের পর এ বার কোচের বিরুদ্ধে অস্বস্তিতে ফেলার অভিযোগ আনলেন জাতীয় স্তরের মহিলা সেলর (Sailor)। তিনি ইয়াকটিং ইয়াকটিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া এবং স্পোর্টস অথারিটি অব ইন্ডিয়া (সাই)-র কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। ওই মহিলা সেলর জানিয়েছেন জার্মানিতে একটি এক্সপোসার ট্রিপে তাঁকে 'অস্বস্তি' বোধ করায় কোচ।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, একাধিক বার এই বিষয়ে ইয়াকটিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার কাছে অভিযোগ জানানোর পরেও যখন কোনও লাভ হয়নি তখন বুধবার রাত্রে সাই-এর স্মরণাপন্ন হন ওই মহিলা সেলর। সাই এই অভিযোগ পাওয়ার পর ইয়াকটিং ফেডারেশনের থেকে রিপোর্ট চেয়েছে আজকে অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের মধ্যে। সাইয় ফেডারেশনের কাছে জানতে চেয়েছে, ওই সেলর আগে যখন অভিযোগ নিয়ে গিয়েছিল তখন কেন তাঁর অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে কেন দেখা হয়নি এবং তা নিয়ে যথার্থ পদক্ষেপ কেন গ্রহণ করা হয়নি।
পিটিআই'কে সাই-এর এক আধিকারিক বলেছেন, "এক মহিলা সেলরের থেকে অভিযোগ পেয়েছে সাই। তিনি অভিযোগে জানিয়েছেন, এক জন কোচ জার্মানিতে একটি এক্সপোসার ট্রিপের সময়ে তাঁকে 'অস্বস্তি'তে ফেলেন। সেলর জানিয়েছেন, তিনি এই বিষয়ে আগে ফেডারেশনকে জানিয়েছিলেন কিন্তু তাদের কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া না পাওয়ার পর তিনি সাইয়ের স্মরণাপন্ন হয়েছেন।"
জার্মানির যেই ক্যাম্পের কথা ওই মহিলা সেলর বলছেন তা আয়োজন করার প্রস্তাব দিয়েছিল ইয়াকটিং ফেডারেশন এবং তার খরচ বহন করেছিল সাই। ওই সূত্র পিটিআই'কে আরও বলেছে, "ভারতের ইয়াকটিং অ্যাসোসিয়েশন ওই ক্যাম্পের প্রস্তাব দেয় এবং তারাই আয়োজন করে। এসিটিসি'র মধ্যে দিয়ে ফান্ডিং করে সাই কারণ এটাই নিয়ম।
আফগানিস্তান ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসী স্টিম্যাচ, আরও ভাল খেলা যেত, রাখঢাক না করে সরাসরি জানালেন সুনীল
যেই কোচের বিরুদ্ধে অভিযোগটি এসেছে তাঁকে ফেডারেশন নিযুক্ত করে।" সাই ওই অভিযোগকারিনী সেলরের সঙ্গে কথা বলেছে যিনি জানিয়েছেন, ট্রেনিংয়ের সময়ে তাঁর উপর 'মানসিক চাপ' সৃষ্টি করতো কোচ। যদিও কোনও যৌন হায়রানির কথা ওই অভিযোগকারিনী উল্লেখ করেননি। যেই কোচের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি তিন বারের অলিম্পিয়ান এবং ভারতীয় নৌ-বাহিনীর দলের কোচ।