রাজ্য সভা ভোট আগািমকাল
শক্রবার হাইভোল্টজ রাজ্যসভা ভোট। ১০টি আসনে রয়েছে নির্বাচন। বিজেপি থেকে শুরু করে অবিজেপি দল সকলেই কোমর কষেছেন রাজ্য সভার এই দশ আসনের ভোট। একাধিক অবিজেপি দল প্রার্থী দিয়েছে। পাঞ্জাব থেকে কর্নাটক অনেক অবিজেপি রাজ্য রাজ্যসভা ভোট এবার প্রার্থী দিয়েছে। কাজেই বিজেপিকে রাজ্য সভাতেও কড়া টক্কর দেবে বিরোধীরা।
রিসর্টে বিধায়করা
কর্নাটকের জেডিএসও এবার রাজ্য সভার ভোটের দৌড়ে রয়েছে। গতকাল দলের কোর কমিটির বৈঠক হয় রাজ্যসভার ভোট নিয়ে। তারপরেই জেডিএসের পক্ষ থেকে ঠিক করা হয় ভোটের আগে পর্যন্ত সব বিধায়কদের একটি রিসর্টে রাখা হয়। জেডিএস এবার কর্নাটকের আসনে প্রার্থী দিয়েছে। কুপেন্দ্র রেড্ডিকে প্রার্থী করা হয়েছে। এই একটি আসনই বিজেপি প্রার্থী করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে। এছাড়া জগ্গেশ এবং লাহার সিংকে। অন্যদিকে কংগ্রেস প্রার্থী করেছেন জয়রাম রমেশ এবং মনসুর আলি খানকে। কাজেই অনায়াস ভোট কেনা বেচা হতে পারে। এই আশঙ্কায় আগে থেকে বিধায়কদের রিসর্টে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেডিএস।
ভোটাভুটিতে কারচুপির আশঙ্কা
গতকাল রাজ্য সভার ভোটের প্রথম রাউন্ডেই ২ থেকে তিন জন প্রার্থী জিতে যাবেন অনায়াসেই। দ্বিতীয় রাউন্ড ঘিরেই থাকছে উত্তেজনা। এই দ্বিতীয় রাউন্ডেই কারচুপির ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিজেপির অতিরিক্ত ৩২টি ভোট রয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেসের রয়েছে ২৫টি ভোট। আবার জেডিএসেরও ৩২টি ভোট রয়েছে। সূত্রের খবর জেডিএসের ৫ বিধায়ক ভোটদান থেকে বিরত থাকবেন কারণ তাঁরা দল ছেড়েছেন।
কংগ্রসেকে সমর্থনের অনুরোধ
জেডিএসের পক্ষ কংগ্রেসকে অনুরোধ করা হয়েছে তারা যেন জেডিএসকে সমর্থন করে। কারণ রাজ্যসভায় তারা আগে থেকেই অভিজ্ঞ। একাধিকবার রাজ্যসভায় প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছে তাদের। এরই মধ্যে আবার কুমারস্বামী টুইটে জানিয়েছেন , কংগ্রেস এবং বিজেপিকে জেতাতে জেডিএসকে ভোট দিন। ভোট ভাগের আশঙ্কায় তাই আগে থেকেই সচেতন জেডিএস। সেকারণেই আগের দিন থেকেই বিধায়কদের রিসর্টে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।