একদিকে সন্ত্রাসে উত্তপ্ত কাশ্মীর। অন্যদিকে সংঘর্ষের গন্ধ। তারই জেরে কার্ফু জারি হল উপত্যকায়। বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের দোদা জেলার ভাদেরওয়াহ শহরে কার্ফু জারি জারি করা হয়েছে। একটি বিতর্কিত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জেরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে বলে আঁচ করেছিল কাশ্মীর পুলিশ।
তারপরই কার্ফু জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পুলিশের তরফে।
শুধু কার্ফু জারি নয়, রুট মার্চও করা হয় এলাকায়। পুলিশের দাবি, ওই ফেসবুক পোস্টের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ করা হয়েছে। যিনি ওই পোস্ট করেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কাশ্মীর পুলিশের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে, যদি কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কোনোভাবেই রেয়াত করা হবে না। এএনআই সূত্রে খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছিল।
সেই ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে কোনও একটি মদজিদ থেকে এক বিশেষ ঘোষণা হচ্ছে। ওই ঘোষণা ঘিরেই তৈরি হয় বিতর্ক। উস্কানিমূলক ভিডিও বলেই সেটিকে চিহ্নিত করে পুলিশ। আর ওই ভিডিও ঘিরেই তৈরি হয় বিপত্তি। একদিকে যখন নূপুর শর্মার মন্তব্য ঘিরে গোটা দেশ তোলপাড়, তারই মধ্যে কাশ্মীর পুলিশ ওই ভিডিও দেখে সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হয়ে যায়।
পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, তার জন্য আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্য নিয়ে বিতর্কে আঁচ পৌঁছে গিয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরেও। অনেক দেশই ভারতের জিনিসপত্র পর্যন্ত বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে অবশ্য বিজেপি বহিষ্কার করেছে ওই নেত্রী।
বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র পদে থেকে হজরত মহম্মদকে নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তার জেরেই তৈরি হয় বিতর্ক। যদিও অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নূপুরকে সমর্থন করেছেন, তবে তাঁর মন্তব্য ভারতকে কূটনৈতিক স্তরে চাপে ফেলেছে বলেই কড়া পদক্ষেপ করেছে বিজেপি সরকার। এ দিকে, গত কয়েক মাসে কাশ্মীরের পরিস্থিতি নতুন করে খারাপ হতে শুরু করেছে।
পরপর জঙ্গিহানায় মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজন ভিনরাজ্যের কর্মী, সরকারি কর্মীর। ওই সব ঘটনার জেরে উপত্যকা জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাচ্ছে একাংশ। অনেকেই বলছেন দ্রুত তাঁদের বদলি করে দেওয়া হোক। সেই আগুনে যেন নতুন করে ঘি না পড়ে তার জন্য এ দিনের ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।