মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর এই বিতর্কের মধ্যেই এবার মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একের পর এক টুইটে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ তাঁর। শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে গ্রেফতারের দাবিও জানানো হয়েছে। পাশাপাশি দেশের বৈচিত্রপূর্ণ ঐক্যের বুনট নষ্ট হচ্ছে বলেও তোপ দেগেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের। একই সঙ্গে শান্তি বজায় রাখতেও আবেদন করা হয়েছে। তবে এহেন পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একের পর এক টুইট রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হয়েছে।
নেতা-নেত্রীদের গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছেন প্রশাসনিক প্রধান।
এদিন মমতা লেখেন, ''আমি বিজেপির কিছু সর্বনাশা, দায়িত্বজ্ঞানহীন নেতা-নেত্রীর সাম্প্রতিক জঘন্য, প্ররোচনামূলক, বিভেদমূলক ও ঘৃণাসর্বস্ব মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছি। এমন মন্তব্য ও আচরণের ফলে শুধু হিংসাই ছড়ায় না, দেশের মন বিভক্ত হয়, দেশের শান্তি ও সংহতিও নষ্ট হয়। শুধু তাই নয়, দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহ্য ও ঐক্য রক্ষার স্বার্থে এবং সর্বসাধারণের মানসিক শান্তির প্রয়োজনে নেতা-নেত্রীদের গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছেন প্রশাসনিক প্রধান।
শান্তি বজায় রাখার আবেদনও জানিয়েছেন মমতা
পাশাপাশি শান্তি বজায় রাখার আবেদনও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি নেত্রীর মন্তব্যে ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন অংশে অশান্তির খবর সামনে এসেছে। এই অবস্থায় এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনকি কোনও বিজেপি নেতাও এই বিষয়ে কোনও বক্তব্য দেননি। তবে দলের তরফে একটি বিবৃতি দিয়েই ক্ষান্ত হয়েছে। যদিও এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন টুইট নিঃসন্দেহে মোদী সরকারের উপর চাপ বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মালয়েশিয়াও
বিজেপি নেত্রী নুপুরের মন্তব্য ঘিরে সমালোচনার ঝড়। শুধু দেশেই নয়, বিশ্বের একাধিক দেশ ইতিমধ্যে এহেন মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। আরব-কুয়েত সহ একাধিক গালফ দেশ ভারতীয় হাই কমিশনারদের ডেকে তীব্র মন্তব্যের বিরোধীতা করেছে। বিজেপি নেত্রীর মন্তব্যে বিশ্বে ক্রমশ চাপ বাড়ছে মোদী সরকারের। এই অবস্থায় এবার নবী নিয়ে বিজেপি নেত্রীর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মালয়েশিয়াও।