এক দিনে করোনা সংক্রমণের রেকর্ড বৃদ্ধি। ৪০ শতাংশ বাড়ল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭২৪০ জন। করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়তে শুরু করে দিয়েছে দেশে। মহারাষ্ট্র, কেরল নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। মহারাষ্ট্রে নতুন করে মাস্কবিধি কড়া করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে।
ফের উর্ধ্বমুখী দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। গতকাল যেখানে সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৫ হাজারের কিছু উপরে। সেখানে ২৪ ঘণ্টায় ৪০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। ৫ থেকে ৭ হাজারে পৌঁছে গিয়েছে সেটি। দেশে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩২,৪৯৮। গত তিন বারের মত এবারও মহারাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। মহারাষ্ট্রে পজিটিভ রোগীর সংখ্যা এখন ২৭০১। গত চার মাসে যা সর্বাধিক। মহারাষ্ট্র প্রতিটি ওয়েভেই করোনা সংক্রমণের হটস্পট থেকেছে। করোনা সংক্রমণে মারা যাওয়ার সংখ্যা যদিও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মঙ্গলবারের তুলনায় ৮২০ জন নতুন সংক্রমিত হয়েছেন রাজ্যে।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ২,৭৯৭ জন। তারপর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ কমেছে। শুধুমাত্র মুম্বইয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭৬৫ জন। গোটা রাজ্যের ৬০ শতাংশ করোনা সংক্রমণ শুধু মুম্বইয়ে হতে শুরু করেছে। পরিসংখ্যান বলছে থার্ড ওয়েভের সময় ২৬ জানুয়ারি শহরে করেনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৮৫৮ জন। মারা গিয়েছিলেন ১৩ জন। তার পরে এই প্রথম করেনা আক্রান্তের সংখ্যা মুম্বইয়ে হাজার পার করল। মুম্বই ছাড়াও মহারাষ্ট্রের গোন্ডিয়া, নন্দুরবার, যবতমলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
আগেই মহারাষ্ট্র সরকারকে সতর্ক করেছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। মহারাষ্ট্র সরকার ইতিমধ্যেই মাস্কবিধি কড়া করেছে। এদিকে রাজধানী দিল্লিতেও করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী দিল্লিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬৮ জন। ১৫ মে-র পর সর্বোচ্চ করোনা সংক্রমণ হয়েছে মহারাষ্ট্রে। তামিলনাড়ুতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৫ জন। তেলঙ্গানায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১৬ জন। অন্যদিকে গুজরাতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০০ জন। পশ্চিমবঙ্গেও করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। জুন মাসে করোনার চতুর্থ ওয়েভ শুরু হয়ে যাবে বলে আগে থেকেই সতর্ক করেছিলেন গবেষকরা।