লালু-নীতীশের পরে কে
বিহারে লালু-নীতীশের পর কে, এই প্রশ্ন স্বাভাবিক। সেখানেই কি কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর মতো পরিস্থিতি তৈরি হবেয এব্যাপারে এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, বিষয়টি সেই সেই রাজনৈতিক দলের। কোনও রাজনৈতিক দল যদি তাদের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সঠিকভাবে চালনা করতে না পরে, তাহলে তারা ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে।
কংগ্রেসের উদাহরণ সামনে
এব্যাপারে ভোট কুশলী কংগ্রেসের উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, একই কারণে কংগ্রেসেরও এই অবস্থা। তিনি আরও বলেছেন, সাধারণ মানুষ কংগ্রেস সম্পর্কে নানা কথা বলে। তবে কংগ্রেস দলের নতুন লোক ঢোকার দরজা বন্ধ করে গিয়েছে। তিনি বলেছেন, যদি কেউই কংগ্রেসে যোগ দেন, তাহলে তিনি বুঝবেন, ওই দলের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কেমন।
কংগ্রেসের অবস্থা মিউজিক্যাল চেয়ারের মতো
কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলেছেন ১৯৮৪ সালের পরে কংগ্রেস সারা দেশে জিততে পারেনি। কেননা দলের কর্মসূচিতে নতুন লোক আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন কংগ্রেসের অবস্থা মিউজিক্যাল চেয়ারের মতো। যেখানে ১০ জন বসে আছে। কংগ্রেসে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, কোনওভাবেই তিনি ওই দলের সঙ্গে যাচ্ছেন না।
জেডিউ-আরডেডি প্রসঙ্গ
জেডিইউ এবং আরজেডি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, বিহারের তরুণরা যদি এই দলে যোগ না দেয়, তাহলে কয়েকদিন পরে তারা হারিয়ে যাবে। তিনি বলেছেন, ১৯৮০- দশকে অনেকের ধারণা ছিল বিজেপি ছোট দল। যদিও এর পরে বিডেপি বেড়েছে এবং অন্য দলগুলি হারিয়ে গিয়েছে।
বিহারের জন্য কাজের সিদ্ধান্ত
প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, তিনি ২০১১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ভোট কুশলী হিসেবে কাজ করেছেন। বাংলা ও তামিলনাড়ু বিধানসভার ফল বেরনোর পরে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, নিজের জায়গা থেকে সরে যাওয়ার। পাশাপাশি তিনি পরবর্তী অবস্থান ঠিক করতে ১ বছর সময় নিয়েছিলেন। সব বিকল্প বিবেচনা করে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বিহারে নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা তৈরি করবেন। যেখান থেকে বিহারের অবস্থার উন্নতি করা যায়। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, বিহার সম্পর্কে তাঁর যে দৃষ্টিভঙ্গী রয়েছে, তা সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে
সময় লাগবে। এর আগে প্রশান্ত কিশোর বলেছিলেন তাঁর ট্র্যাক রেকর্ডে কালির ছিটে কংগ্রেস।