অগাস্টে ফের রেপোরেট বাড়তে পারে
মে মাসের পর ফের জুন মাসে রেপোরেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বুধবার মনিটরি কমিটির মিটিংয়ে পর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ঘোষণা করেন যে ৫০ বেসিস পয়েন্ট রেপোরেট বাড়ানোর কথা। সেই সঙ্গে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন অগস্ট মাসে ফের রেপোরেট বাড়ানো হবে। সেটা ৩৫ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। রেপোরেট বাড়লেও রিভার্স রেপোরেট বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হয়নি। শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন মুদ্রাস্ফীতিতে রাশ টানতেই রেপো রেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জিডিপি বৃদ্ধি কত হবে
রেপোরেট বাড়ানোর পাশাপাশি চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি নিয়েও কথা বলেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তিনি জানিয়েছেন চলতি অর্থ বর্ষে জিডিপি বৃদ্ধি ৭.২ হতে চলেছে। অর্থাৎ দেশের জিডিপিতে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না বলেই জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। যদিও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে প্রথম কোয়ার্টারে জিডিপি বৃদ্ধি ১৬.২ শতাংশ দেখা যাবে। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে সেই জিডিপি বৃদ্ধি ৬.২ শতাংশ হবে। আর তিন নম্বর কোয়ার্টারে জিডিপি বৃদ্ধি ৪.১ শতাংশ হবে। চতুর্থ কোয়ার্টারে জিডিপি বৃদ্ধি ৪ শতাংশ হবে। অর্থাৎ বছরের শেষে জিডিপি বৃদ্ধি কমবে দেশের।
রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি
দেশের মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড আকার নিয়েছে। খাবার থেকে শুরু করে সব জিনিসের দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। যদিও শক্তিকান্ত দাস দাবি করেছেন দেশের অর্থনীতিক চাকা ফের ঘুরতে শুরু করেছে। দেশের মুদ্রাস্ফীতি ৬.৭ শতাংশে পৌঁছে যাবে চলতি অর্থ বর্ষে। প্রথম কোয়ার্টারে মুদ্রাস্ফীতি ৭.৫ শতাংশ হবে। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে মুদ্রাস্ফীতি ৭.৪ শতাংশ হবে। তিন নম্বর কোয়ার্টারে মুদ্রাস্ফীতি ৬. ২ শতাংশ হবে। চতুর্থ কোয়ার্টারে সেটা ৫.৮ শতাংশ হবে। অর্থাৎ বছরের শেষে সেটা ক্রমশ কমবে।
অর্থনীতির হাল ফিরছে
দেশের অর্থনীতির হাল ফিরছে। এমনই দাবি করেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর। তিনি দাবি করেছেন করোনা পরিস্থিতির ফলে দেশের অর্থনীতি যেভাবে ধাক্কা খেয়েছিল। সেটা ধীের ধীরে ফিরতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বাণিজ্যে গতি এসেছে দেশে। বিনিয়োগ আসতে শুরু করেছে দেশে। এই নিয়ে দাম বাড়ছে। কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের হোম লোন ১০০ শতাংশ করে দেয়া হয়েছে।