রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বঙ্গ বিজেপির অসন্তোষ উসকে দিলেন
নাড্ডার সফর চলাকালীন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডাজি বাংলায় আসছেন, রাজ্য কার্যনির্বাহী বৈঠকে ডাক পাওয়া তো দূর অস্ত, তাঁর আসার খবরটাও আমাকে জানানো হয়নি। দিলীপ ঘোষের মুখে তালা লাগালেও তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বঙ্গ বিজেপির অসন্তোষকে সামনে এনে দিলেন।
বিজেপিতে বেসুরোর সংখ্যা বাড়ছে ক্রমশ
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপিতে অসন্তোষ তীব্রতর হয়েছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, ভাঙনে জেরবার বিজেপি। প্রতিদিনই কেউ না কেউ বেসুরো বাজছেন। অনেকে আবার বিজেপ ছেড়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। দলের শীর্ষস্তরে অনেকের দলবদল নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। কে কবে দল ছাড়বে, তা নিয়ে নেতৃত্বও ধন্দে।
লকেট চট্টোপাধ্যয়াকে নিয়ে জল্পনা চলছিল
অমিত শাহ বঙ্গ সফরে আসার পরই বিজেপির সাসংদ অর্জুন সিং দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তারপর থেকেই জল্পনা চলছে আর কে কে দল ছাড়তে পারেন। এরই মধ্যে আরএসএসের মুখপত্রে লেখা হয়েছে লকেট চট্টোপাধ্যায় দল ছাড়তে পারেন। তা অবশ্য লকেট চট্টোপাধ্যায় উড়িয়ে দিয়েছেন। লকেট চট্টোপাধ্যায়কে এদিন দেখাও যায় জেপি নাড্ডার সঙ্গে।
বিজেপির ডামাডোল মেটানোই মুখ্য উদ্দেশ্য নাড্ডার
জেপি নাড্ডা বাংলায় এসেছেন মূলত বিজেপির অসন্তোষ দূর করতে। যাঁরা বেসুরো গাইছেন তাঁদেরকে স্পষ্ট বার্তা দিতে। বিজেপির ডামাডোল মেটানোই তাঁর মুখ্য উদ্দেশ্য। সেই লক্ষ্যে তিনি ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকে তিনি নেতাদের উদ্দেশে প্রচ্ছন্ন বার্তা দেবেন। দলকে একতার বার্তা দিয়ে তিনি আগামী লড়াইয়ের সুর বেঁধে দিয়ে যাবেন।
বিজেপির কর্মিসভার বৈঠকের আগে ক্ষোভ
তিনদিনের রাজ্য সফরে মঙ্গলবার রাতে কলকাতায় পা রেখেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বুধবার থেকে তিনি কর্মসূচি শুরু করেছেন। প্রথমে হুগলির চুঁচুড়ায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিবিজড়িত বন্দেমাতরম ভবনে গিয়েছিলেন থেকে। বন্দেমাতরম ভবনের পর রাসবিহারী ইনস্টিটিউট পরিদর্শনে যান জেপি নাড্ডা। শেষে বিজেপির কর্মিসভার বৈঠকে পৌরহিত্য করেন তিনি। কিন্তু কলকাতায় নাড্ডার আসা থেকে বন্দেমাতরম ভবনের কর্মসূচি, রাসবিহারী ইস্টিটিউট এবং ন্যাশনাল লাইব্রেরির অনুষ্ঠান সর্বত্রই বিতর্ক ছিল সঙ্গী।
রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ে প্রকট বিজেপির অসন্তোষ
বিজেপি ডামাডোল মেটানোর এই অভিযানে একতার অভাব বারবার ফুটে উঠেছে। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ছিলেন পিছনের সারিতে, বাকিদের থেকে দূরে দূরে। তবে লকেটকে গুরুত্ব দিতে দেখা যায়। লকেট ও সুকান্তকে কথা বলতেও দেখা যায় চুঁচুড়ায়। এদিন অবশ্য ন্যাশনাল লাইব্রেরির হলে রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকে দিলীপ ঘোষ বক্তব্য রাখেন। কিন্তু রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে বিজেপির অসন্তোষ সামনে এনে দেন।