বিজেপি নেত্রীর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে
শুধু মালয়েশিয়াই নয়, ইরাক, লিবিয়া এবং তুর্কিও নবী নিয়ে বিজেপি নেত্রীর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ইরাকের জারি করা বিবৃতিতে বাগদাদে ভারতীয় দূতাবাস বলেছে যে এই দুই নেতার বক্তব্য ভারত সরকারের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না। শুধু তাই নয়, দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিও জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে যে প্রতিটি ধর্মকে সম্মান করা ভারতের সভ্যতা ও সংস্কৃতি। ফলে ইরাক এবং ভারতের সম্পর্ক অটুট থাকবে বলেই আশা ব্যক্তি করেছে ভারতীয় দূতাবাস।
মালয়েশিয়ার তরফে তীব্র নিন্দা-
নবী বিতর্কে মালয়েশিয়া সরকারের তরফে তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, হাই কমিশনারকেও তলব করেও এই বিষয়ে সরকারের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, একে অপরের ধর্মকে সম্মান ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে মালয়েশিয়ার তরফে। যদিও যারা এই মন্তব্য করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াকে স্বাগত জানিয়েছে সে দেশ। মালয়েশিয়া ছাড়াও লিবিয়া, তুর্কি সহ বেশ কয়েকটি দেশও এহেন ঘটনায় মুখ খুলেছেন। এবং তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।
ভালো সম্পর্ক থাকবে-
ইতিমধ্যে কাতার, সৌদি আরব, বেহরিন, ওমান সহ একাধিক নবী বিতর্কে নিন্দা জানিয়েছে। যদিও এই সমস্ত দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তাঁর দাবি, অভিযুক্ত সরকারের কোনও পদে ছিলেন না। ইতিমধ্যে বিজেপি'র তরফে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক পদ থেকেও। ভারত সমস্ত ধর্মকে সম্মান জানায়। ফলে সমস্ত দেশের সঙ্গে সম্পর্ক আগের মতোই বজায় থাকবে বলে দাবি কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর। এমনকি বিজেপি'র তরফেও এই ঘটনার জন্যে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয়েছে।
হুঁশিয়ারি আল কায়েদার
আল কায়েদার নাম করে একটি চিঠি সামনে এসেছে। যেখানে সরাসরি হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের দাবি, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাতে একের পর এক আত্মঘাতী হামলা ঘটবে। আর তা করতে তারা তৈরি বলেও দাবি করা হয়েছে। কার্যত বদলা নিতেই এহেন আত্মঘাতী হামলা করা হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ।