দেশে ওষুধের দাম বাড়ছে। কিন্তু এর মধ্যেই আর্থিক দিক থেকে তেমন কোনও সুরাহা না হলেও কয়েকটি বিশেষ ওষুধ এবার প্রেসক্রিপশন না দেখালেও পাওয়া যাবে বলে জানা যাচ্ছে। ভারতের গেজেটে প্রকাশিত একটি খসড়া বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, সরকার আইন সংশোধন করে প্যারাসিটামলের মতো ১৬ টি সাধারণভাবে ব্যবহৃত ওষুধ কাউন্টারে বিক্রি করার অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
ওভার-দ্য-কাউন্টার বিক্রির অর্থ হ'ল ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই খুচরা বাজার (ফার্মেসি) থেকে ওষুধ কেনা যায়। দেশে অ্যান্টিবায়োটিক সহ বেশ কয়েকটি ওষুধ কাউন্টারে বিক্রি হয়, সম্ভবত এই প্রথম সরকার ওষুধগুলি তালিকাভুক্ত করার ব্যবস্থা নিচ্ছে যা প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বিক্রি করা যেতে পারে৷
প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বিক্রি হবে বলে আশা করা অন্যান্য ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে নির্দিষ্ট ডিকনজেস্ট্যান্ট, সাধারণত ব্যবহৃত ল্যাক্সেটিভের পাশাপাশি কিছু মাউথওয়াশ, অ্যান্টি-একনি ক্রিম এবং ক্রিম আকারে সাময়িক ব্যথানাশক কিছু ওষুধ।
জানা গিয়েছে যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক ড্রাগস রেগুলেশন অ্যাক্ট, ১৯৪৫-এ পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে। যে সমস্ত শারীরিক সমস্যায় পাঁচ দিনের বেশি ওষুধ খেতে হয় না শুধু সেক্ষেত্রেই ওষুধ কিনতে গেলে আগে প্রেসক্রিপশন দেখাতে হত না। যদি উপসর্গগুলি ঠিক না হয় তখন একজন রোগীকে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে বলে বলা ছিল। সেখানেই আরও কিছু নতুন ওষুধ ঢুকছে। গুরুত্বপূর্ণ হল, এই তালিকায় আসছে কিছু প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ।
এবার এটা কেন গুরুত্বপূর্ণ সেটা বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে যে , করোনা আসার কিছুদিন পর বলা হয়েছিল প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ প্রেসক্রিপশন ছাড়া কেনা যাবে না, কিন্তু এবার সেই তালিকায় প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ প্রবেশ করছে। প্রশ্ন উঠছে তবে কী করোনা অতিমারি যে একদম প্রায় শেষের জায়গায় চলে এসেছে সেই ইঙ্গিত কী ভারত সরকার এবং চিকিৎসকদের কাছে চলে এসেছে ? অতিমারি সৃষ্টি করা ভাইরাস যদি এখনও তেমন শক্তিশালী ্থাকে তাহলে তা শনাক্ত করার জন্য প্যারাসিটামল কেনার জন্য প্রেসক্রিপশন লাগত। কিন্তু এখন ওই ওভার-দ্য-কাউন্টার তালিকায় প্রবেশ করছে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ।
তাই চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কার মাঝে এই নয়া সিদ্ধান্ত অতিমারির চতুর্থ ঢেউ নিয়ে বিশাল ভয় পাবার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে কি না সেই প্রশ্নের উপর তুল দিয়েছে প্রশ্ন। তবে এসবের মাঝে মানুষের পকেটে কাটার জন্য তৈরি হয়ে বসে রয়েছে বিভিন্ন ওষুধের দাম, যা বিগত কয়েক মাসে লাফিয়ে বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে।