হিজাব নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
জানা যাচ্ছে, সাসপেন্ড হওয়া ওই ২৪ জন ছাত্রী গত সপ্তাহে হিজাব বন্ধ হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। এমনকি সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনের হুমকি পর্যন্ত দেয়। আর এরপরেই আন্দোলনকারী ওই ছাত্রীদের ক্লাস থেকে বহিস্কার করা হয়। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেও তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। যা নিয়ে নতুন করে অশান্তির একটি আশঙ্কা তৈরি হয়।
কলেজ কমিটি এই সিদ্ধান্ত নেয়-
কার্যত এহেন ঘটনার পরে তীব্র অস্বস্তি ছড়িয়ে পড়ে কলেজ চত্বরে। যদিও এই ঘটনার পরেই জরুরি ভিত্তিতে কলেজে একটি বৈঠক হয়। আর সেখানেই অর্থাৎ কলেজ কমিটি ওই সমস্ত ছাত্রীদের সাসপেন্ড করে দেওয়ার সুযোগ নেয়। গাইডলাইন না মানার কারণেই এহেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। যদিও গত কয়েকদিন আগের এই ঘটনার পরেই প্রত্যেক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে বলেই খবর।
হিজাব কোনও ধার্মিক প্রথা হতে পারে না।
বলে রাখা দরকার, কর্নাটক সরকারের তরফে স্কুল এবং কলেজগুলির জন্যে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয় থাকে। যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের ইউনির্ফম পড়া একেবারে বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়। তবে এর মধ্যেও হিজাব পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি চাইছে একটি মহল। বলে রাখা প্রয়োজন কর্ণাটক হাইকোর্ট স্কুল ও কলেজগুলিতে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের আদেশকেই বহাল রেখেছে। এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, হিজাব পড়া কোনও ধার্মিক প্রথা হতে পারে না।
বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি
বলে রাখা প্রয়োজন, গত মাসখানেক আগে হিজাব পরে আসায় কলেজে ১২ জন পড়ুয়াকে প্রবেশ করতে বাধা দেয় খোদ কলেজ কর্তৃপক্ষ। পড়ুয়াদের বলা সত্ত্বেও তাঁরা হিজাব খুলতে চাননি বলেই প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন তাঁরা। ম্যাঙ্গালুরু শহরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। আর সেই বিতর্কের মধ্যেই আরও একটি ঘটনা। বারবার একই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তবে এই ঘটনার পরেই সে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।