ধর্ষণ কাণ্ডে নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করে দিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির এক বিধায়ক। এমন দায়িত্ব জ্ঞানহীনের মত কাজ করার জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে যে নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর ছবি এবং ভিডিও প্রকাশ করে দেন ওই বিধায়ক। এই অভিযোগেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে গত ২৮ মে। হায়দরাবাদের একটি জনবহুল এলাকায় ঘটে ওই গণধর্ষণ। এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছিল।
ইন্ডিয়ান পিনাল কোডের ধারা ২২৮এ তে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এমন কোনও ব্যক্তির পরিচয়য় বা অন্য কোনও বিবরণ প্রকাশ করা নিষিদ্ধ। পুলিশ জানিয়েছে যে বিধায়ক এম রঘুনন্দন রাওয়ের বিরুদ্ধে আইনজীবী করম কোমিরেডির অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করা হয়েছিল। পি নরেশ কুমার, একজন স্থানীয় পুলিশ অফিসার, কোমিরেডির অভিযোগ নিয়ে বলেছেন যে রাও বিজেপির রাজ্য অফিসে করা একটি সাংবাদিক সম্মেলনে নির্যাতিতার ফটোগ্রাফ এবং ভিডিও প্রকাশ করেন।
আইনজীবী করম কোমিরেডি বলেছেন যে , "এটা বলে দেয় যে বিধায়ক বিচারের ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করছেন এবং নির্যাতিতার মান সম্মান সব কিছু নিয়ে দায়িত্ব জ্ঞানহীনের মতো খেলা করছেন এবং এটা যে কোনও নির্যাতিত ব্যক্তির জন্যই মারাত্মক হতে পারে। এক্ষেত্রে যে নির্যাতনের শিকার হয়েছে সে নাবালিকা। এটা তার জন্য আরও বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে। মানসিক ভাবে অসুস্থ করে দিতে পারে।"
কোমিরেড্ডি এও বলেন যে, সংবাদ সম্মেলনের পর মেয়েটির ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। "মিডিয়ার কাছে রাও-এর কাজ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বিরোধী ছিল এবং জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট, ২০১৫ এর ধারা ৭৪, যা মিডিয়ার যে কোনও আকারে একটি শিশুর পরিচয় প্রকাশকে নিষিদ্ধ , সেই কাজ করেছেন বিধায়ক। পাশাপাশি পস্কোর এর ধারা ২৩ [প্রটেকশন অফ যৌন অপরাধ থেকে শিশু] আইন ২০১২ বলে যে কোনও শিশুর কোনো তথ্য/ছবি কোনো ধরনের মিডিয়ায় প্রকাশ করা উচিত নয়, সেটাও করা হয়েছে। তাই ওই দুই ধারায় বিধায়কের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।"
কোমিরেড্ডিও জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন এবং তেলেঙ্গানা রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের কাছে একই অভিযোগ দায়ের করেছেন।
রাও এর আগে বলেছিলেন যে তিনি কোনও মামলাকে ভয় পান না। তিনি বলেছেন, ছবি এবং ভিডিওতে মেয়েটির মুখ বা অন্য কোনো শনাক্তকরণ চিহ্ন দেখাননি বা তার নাম উল্লেখ করেননি। "অপরাধে জড়িত আসামিদের ফাঁস করতে ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছি। এই ঘটনায় জড়িত অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন নেতাদের এবং তাদের পোষ্যপুত্রদের রক্ষা করার ষড়যন্ত্র চলছে।"