পুলিশের কাছে নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদন
ফোনে হয়রানি ও হুমকির কথা উল্লেখ করে নূপুর শর্মা পুলিশের কাছে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। বিজেপি থেকে বহিষ্কারের পরে অবশ্য নূপুর শর্মা নিঃশর্তভাবে তাঁর মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন ভগবান শিবের প্রতি ক্রমাগত অপমান এবং অসম্মানের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর মন্তব্য ছিল।
পুলিশের বার্তা
সংবাদ মাধ্যমে দিল্লি পুলিশকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন নূপুর শর্মা। এছাড়াও ফোনে হয়রানির অভিযোগও করেছিলেন তিনি। সেই কারণে নূপুর শর্মা ও তার পরিবারকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, ২৮ মে নূপুর শর্মার কাছ থেকে সাইবাল সেল ইউনিটে হত্যার হুমকি দিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৫০৬ ধারা (ভীতি প্রদর্শন), ৫০৭ ধারা এবং ৫০৯ ধারায় এফআইআর করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের সময়ও নূপুর শর্মা কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। যার জেরে মামলায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ ধারা যুক্ত করা হয়।
ইতিমধ্যেই বিজেপি থেকে বহিষ্কার
আগের সপ্তাহে নূপুর শর্মা নিউজ চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানে নবীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। এরপর উপসাগরীয় দেশগুলি থেকে মন্তব্য নিয়ে চাপ বাড়তে থাকে। রবিবার বিজেপির তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে দল থেকে বহিষ্কার এবং দিল্লি বিজেপির মিডিয়া ইউনিটের প্রধান নবীন জিন্দালকে সাসপেন্ড করা হয়।
উপসাগরীয় দেশগুলিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া
কুয়েত, কাতারের মতো দেশগুলিকে দিয়ে শুরু হয়েছিল। এবার ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমীর শাহি, জর্ডন, মালয়েশিয়ার মতো দেশও নূপুর শর্মার মন্তব্য নিয়ে প্রতিবাদ করেছে। এইসব দেশগুলিতে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে সেখানকার বিভিন্ন মুসলিম গোষ্ঠী। কুয়েতের একটি সুপার মার্কেটে ভারতীয় পণ্য সরিয়ে নেওয়ার ছবি ভাইরাল হয়েছে। যদিও তার আগেই বিজেপি তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, তারা সব ধর্মকে সম্মান করে এবং যে কোনও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের অবমাননার নিন্দা করে।