দু'মাস ধরে জাঁকজমকপূর্ণ বিশ্ব আইপিএল-এর পর ফোকাসে এখন টি-২০ বিশ্বকাপের দিকে সমস্ত নজর ভারতীয় দলের। ২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপের সংস্করণে যে ভাবে গ্রুপ স্তরে পর পর দুই ম্যাচ হেরে ছিটকে যেতে হয়েছিল তার স্মৃতি দগদগে স্মৃতি এখনও তাজা। ২০২২ টি-২০ বিশ্বকাপের সংস্করণে সেই ভুলের পুনঃরাবৃত্তি করতে নারাজ ভারতীয় দল।
অক্টোবর মাসে হতে চলা সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ক্রিকেটের মেগা ইভেন্টে যোগ দেওয়ার আগে তাই প্রস্তুতিতে ভাল মতোই ঝালিয়ে নেওয়া লক্ষ্য মেন ইন ব্ল্যু-র। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ যার প্রথম পদক্ষেপ।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে প্রথম একাদশের প্রধান ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিয়েছে বিসিসিআই। সুযোগ দেওয়া হয়েছে তরুণদের। পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবেন কে এল রাহুল। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা সহ একাধিক বড় নামের অনুপস্থিতিতে রাহুল ছাড়াও ব্যাটিং বিভাগের প্রধান দায়িত্ব থাকবে শ্রেয়স আইয়ার, হার্দিক পান্ডিয়া, ঋষভ পন্থ এবং দীনেশ কার্তিকের উপর।
মিডল অর্ডারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন শ্রেয়স আইয়ার কারণ চোটের জন্য এই সিরিজে দলে নেই সূর্যকুমার যাদব। এই সিরিজে বড় মাইলস্টোনের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। আইপিএল-এ কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে ১০০০ রানের থেকে ১৯১ রান দূরে। এই সিরিজে তিনি যদি এই পরিমান রান করতে পারেন তা হলে কেএল রাহুল, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, শিখর ধাওয়ান, মহেন্দ্র সিং ধোনি, সুরেশ রায়না এবং যুবরাজ সিং-এর মতো টি-২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০০ রান অর্জন করা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় জায়গা করে নেবেন। কিন্তু যেটা শ্রেয়সের জন্য বড় বিষয় তা হল তিনি যদি এই সিরিজে ১০০০ রানের মাইলস্টোন ছুঁতে পারেন তা হলে তৃতীয় দ্রুততম ক্রিকেটার হিসেবে এই নজির স্পর্শ করবেন। ছাপিয়ে যাবেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। ২০১৫ সালে ২৯ ম্যাচে এই নজির স্পর্শ করেন কোহলি। ২০১৯ সালে কেএল রাহুল একই নজির স্পর্শ করেন ৩২ ম্যাচে। ২০১৬ সালে এই নজির তৈরি করতে রোহিত শর্মার লেগেছিল ৪৭টি ম্যাচ।
৩৬ ম্যাচে ৮০৯ রান করেছেন শ্রেয়স আইয়ার। তাঁর গড় ৩৬.৭৭ এবং স্ট্রাইক রেট ১৪০-এর বেশি।