সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন , তা নিয়ে ইতিমধ্যেই কোমড় বেঁধেছে তৃণমূল। একদম গ্রাস রুট স্তরে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে খাটছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই সমস্ত অনুষ্ঠানেই এনে নিয়ে কাজ চলছে। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এক নতুন আবেদন পেলেন মদন মিত্র।
সামনে পঞ্চায়েত ভোট। গোটা বাংলার সব জেলা থেকে ৩০ জন হস্তশিল্পী মদন মিত্রের কাছে নতুন সংগঠন তৈরির প্রস্তাব নিয়ে এলেন। আগে বাস ইউনিয়ন সামলেছেন মদন মিত্র। এখন ট্রেড ইউনিয়ন সামলাচ্ছেন। এমন সময়েই এই আবেদন এসেছে হস্তশিল্পীদের তরফে। মদন মিত্র জানিয়েছেন এটা নিয়ে তিনি কাজ করবেন। যত এই শিল্পীদের সংগঠন শক্ত হবে তত টাকা উপার্জনের রাস্তা বেরোবে। রাজ্যের উন্নতি হবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের।
এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৃণমূলে শুরু হয়েছে সমীক্ষশ্রার রেওয়াজ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে নেতাদের মূল্যায়নে সমীক্ষা ব্যবস্থা শুরু করলেন তিনি।২০২৩-এ ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট রাজ্যজুড়ে। তার আগে প্রতিটি জেলার ব্লকে ব্লকে নেতাদের সমীক্ষার ব্যবস্থা করল তৃণমূল। ইতিমধ্যে এলাকার বিধায়কদের দেওয়া প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে সমীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই রিপোর্ট জমা পড়লে ব্লকের নেতাদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে। কোন নেতার প্রতি মানুষের কেমন আস্থা তা জেনে নিতে চাইছে শীর্ষ নেতৃত্ব।
দিদিকে বলো' যেমন বিধানসভা ভোটের আগে বিধায়কদের জনভিত্তি চূড়ান্ত করে দিয়েছিল। তেমনই এই সমীক্ষা পঞ্চায়েত ভোটের আগে ব্লক স্তরের নেতাদের গ্রহণযোগ্যতা সামনে আনবে। যদি কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকে, তাও বেরিয়ে আসবে নয়া সমীক্ষা পদ্ধতিতে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে যাতে কোনও অশান্তি সৃষ্টি না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখাও এই সমীক্ষার বিশেষ উদ্দেশ্য।
বেসরকারি স্কুলেও সরকারি নজরদারি! শিক্ষা কমিশন আনছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার
বিধায়কদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী ব্লক নেতাদের স্ক্রিনিং পর্ব চলছে। সেই পর্ব শেষ করেই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে দেওয়া হবে। এই সমীক্ষায় প্রথমেই দেখা হবে, কতটা জনসংযোগ রয়েছে ওই নেতার। অর্থার মানুষের সঙ্গে তিনি মিশতে পারেন কি না, তাঁকে মানুষ কী চোখে দেখে, জনপ্রতিনিধিদের তিনি কীভাবে সাহায্য করেন। সেইমতো নম্বর বা রেটিং পাবেন তিনি।
পাশাপাশি অনেক জায়গাতেই বিধায়কের সঙ্গে ব্লক সভাপতির বা ব্লকের নেতাদের ঝামেলা রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে সেই ঝামেলা মিটিয়ে ফেলার জন্য সর্বতোভাবে চেষ্টা চালানো হবে। তার জন্যই রিপোর্ট নিয়ে ময়দানে নেমে সমীক্ষা চালানো হচ্ছে। ব্লক সভাপতিরা যাতে বিধায়ক ও জন প্রতিনিধিদের সঙ্গে সমঝোতা করে চলে, উন্নয়নমূলক কাজ চালিয়ে যায়, পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেই ব্যবস্থা চূড়ান্ত করতে চাইছে তৃণমূল।