রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম দিনেই রানের পাহাড় বাংলার। বেঙ্গালুরুর জাস্ট ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনের শেষে ৮৯ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে বাংলা ৩১০ রান তুলেছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম শতরান পূর্ণ করে ক্রিজে রয়েছেন সুদীপ ঘরামি। তাঁর সঙ্গে ব্যাট করছেন অনুষ্টুপ মজুমদার, কাল শতরান করতে তাঁর দরকার ১৫ রান।
এবারের রঞ্জি ট্রফির প্রথম তিন ম্যাচে সুদীপ রান করতে না পারলেও তাঁর দক্ষতায় আস্থা রাখে বাংলা শিবির। কোয়ার্টার ফাইনালে শুধু তিনি ব্যাট হাতে সেই আস্থার মর্যাদাই দিলেন না, বাংলাকে রাখলেন চালকের আসনে। বাংলার টপ অর্ডারও নক আউট পর্বে ভরসা দিতে শুরু করল। সুদীপ দিনের খেলার শেষে বলেন, বাংলার হয়ে আমার প্রথম শতরানটি পেয়ে ভালো লাগছে। স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলাই লক্ষ্য ছিল। ব্যাট করতে যাওয়ার সময় দলের সকলে উৎসাহিত করেছিলেন। খেলার সময় অভিমন্যু ঈশ্বরন, অনুষ্টুপ মজুমদার গাইড করেছেন। কোন পরিস্থিতিতে কীভাবে খেলা উচিত সেটা বুঝতে সহায়তা প্রদান করেছেন। শুরুর দিকে কিছুটা সময় নিয়েছি। উইকেট বুঝে নিয়ে তারপর শট খেলাই লক্ষ্য ছিল। উইকেট ভালোই। পেসাররা উইকেট থেকে সাহায্য পেলেও আমরা ভালো ব্যাট করেছি, এতে বড় রান তোলা সহজ হয়ে গিয়েছে। আমরা খারাপ বলে শট খেলাকেই টার্গেট করেছিলাম। নিজের সেরাটা দিয়ে বাংলাকে এবার কাঙ্ক্ষিত ট্রফিটি এনে দিতে চাই।
কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম দিনে দলের পারফরম্যান্স খুশি করেছে হেড কোচ অরুণ লালকে। তিনি বলেন, সুদীপ একজন স্পেশ্যাল প্লেয়ার। শান্ত, টিমম্যান, কখনও কোনও অভিযোগ করতে শুনিনি। আমার কাছে সুদীপ বাংলার ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ এবং বর্তমানে দেশের সেরা পাঁচ ফিল্ডারের একজন। সুদীপ একজন স্পেশ্যাল ব্যাটার, দারুণ টেকনিক রয়েছে। আত্মবিশ্বাস পেয়ে গেলে সুদীপ বাংলার ক্রিকেটের একজন সম্পদ হয়ে উঠবেন। প্রথম তিনটি ম্যাচে সুদীপ ভালো না খেললেও তাঁর দক্ষতা সম্পর্কে সজাগ থেকেই তাঁকে সুযোগ দিয়েছি। অভিষেক রামন ও অভিমন্যু ঈশ্বরন টস হারার পর যেভাবে খেলা দরকার ছিল সেটাই করেছেন। ফাস্ট বোলারদের পক্ষে উইকেট সহায়ক হলেও ওপেনাররা ভালো ব্যাট করেছেন।
অরুণ লালের কথায়, উইকেট কেমন তা বলার সময় আসেনি। দেখব আমাদের বোলাররা কেমন বল করেন। কিন্তু উইকেট শক্ত ও ঘাস থাকায় জোরে বোলাররা সুবিধা পাবেন। অনুষ্টুপ মজুমদারের প্রশংসা করে অরুণ লাল বলেন, অনুষ্টুপ দলের হয়ে সর্বাধিক স্কোর করলেও তিনটি ম্যাচের একটিতেও শতরান না পাওয়ায় কিছুটা আপসেট ছিলাম। এবার তাঁর কাছ থেকে দ্বিশতরান প্রত্যাশা করছি। আপাতত কাল সারাদিন ব্যাট করাই বাংলার লক্ষ্য। রিটায়ার্ড হার্ট রামনের চোট নিয়ে অরুণ লাল বলেন, এটা অনেকটা ব্যাক স্প্যাজমের মতো। চোট যাতে না বাড়ে সে কারণে আর ব্যাট করতে দিইনি। ফিজিও তাঁর চোটের বিষয়টি দেখছেন। কাল প্রয়োজনে অভিষেক ব্যাট করতে পারবেন।
ছবি- সিএবি মিডিয়া