বিজেপির অন্দরে তৃণমূলের চর
বিজেপিতে ডামাডোল শুরু হয়েছে রাজ্যে, তা প্রশমিত করতেই মূলত বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা আসছেন। কিন্তু তাঁর আগমনে কতটা রোগ সারে বিজেপির, তা বোঝা দায়। কেননা দলের অন্দরের খবর বাইরে বেরিয়ে আসছে। এরই মধ্যে আবার শুরু হয়েছে দলের অন্দরে তৃণমূলের চরের উপস্থিতি নিয়ে বিস্তর জল্পনা।
তৃণমূলের চর, কুণালের জবাব
সম্প্রতি বিজেপির সাংসদ দলের অন্দরে তৃণমূলের চর রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। একইসঙ্গে বলেন দলে অনুশাসনের ঘাটতে রয়েছে। তারপরই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দলেই চর থাকে। তৃণমূলের তর যেমন বিজেপিতে রয়েছে, বিজেপির চরও তৃণমূলের অন্দরে রয়েছে। এরপর কুণাল ঘোষ তাৎপর্যপূর্ণ বিবৃতি দেন। তিনি চ্যালেঞ্জও ছোড়েন।
তৃণমূলে পা বাড়িয়ে আছেন
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, বিজেপি ১০ জন শীর্ষ নেতাকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে বৈঠক করুন। বৈঠকে কী কথা হল সব কিছু পুঙ্খানুপুঙ্খ বলে দেব। অর্থাৎ তৃণমূলের এই মুহূর্তে এতটাই আত্মবিশ্বাস যে বিজেপির কোন নেতা কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন তা তাঁদের নখদর্পণে। আবার তিনি বলেন বিজেপির ৮০ শতাংশ নেতা বেঁকে বসে আছেন। তৃণমূলে পা বাড়িয়ে আছেন তাঁরা। শুধু একটা সংকেতের অপেক্ষা।
তিন মাসের মধ্যে বিজেপিতে ভাঙন
এই পরিস্থিতিতে তিনি জেপি নাড্ডাকেও চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন। বলেছিলেন যাঁদের সঙ্গে মিটিং করবেন, তাঁদের তিন মাস ধরে রাখতে পারবেন তো। অর্থাৎ জেপি নাড্ডা মিটিং করার পরও তৃণমূল বিজেপির অন্দরে ভাঙন ধরাতে প্রস্তুত। তিন মাসের মধ্যে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে বড় কোনও দলবদল হতে পারে। বঙ্গ বিজেপির মধ্যে ফের জোরালো ভাঙনের জল্পনা শুরু হয়েছে।
কোন নেতা মাইনাস বিজেপিতে
এখন দেখার মঙ্গলবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা দলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের কী বার্তা দেন। পরপর দুদিন তিনি বৈঠক করবেন বিজেপির নেতাদের সঙ্গে। অমিত শাহ বঙ্গ সফর সেরে যাওয়ার পর অর্জুন সিং বিজেপি ছেড়েছিলেন। এবার নাড্ডা এসেছেন বঙ্গে। তাঁর বৈঠকের পর কোন নেতা মাইনাস হন বিজেপি থেকে তা নিয়ে তৈরি হয়ছে শঙ্কা।