রাজ্যমন্ত্রিসভায় সিলমোহর
অবশেষে রাজ্যমন্ত্রিসভায় পাস হয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার প্রস্তাব। কয়েকদিন আগেই রাজ্যমন্ত্রিসভায় পেশ করা হয়েছিল রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য পদে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করা হবে। পদাধিকার বলেই রাজ্যপাল রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। কিন্তু রাজ্যপালের সঙ্গে গত কয়েকদিন ধরেই তুমুল টানাপোড়েন চলছে। রাজ্যপালের সঙ্গে বিরোধের জেরেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
বিধানসভায় প্রস্তাব পেশের তোরজোর
রাজ্যমন্ত্রিসভায় সিলমোহর মেলার পরে এবার রাজ্য বিধানসভায় বিল পেশের তোরজোর শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্য বিধানসভায় এই প্রস্তাব পাস হলেও সেটা কার্যকর করতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের স্বাক্ষর প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে কী করবেন রাজ্যপাল। যদিও রাজ্যপালে রাজ্য সরকারের এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছে। রাজ্যপাল স্বাক্ষর না করলে কী করবেন সেটা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে রাজ্যপাল স্বাক্ষর না করলে প্রয়োজনে বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিল পাস করানো হবে।
রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিরোধ রাজ্যপালের
রাজ্যসরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের বিরোধ নতুন নয়। জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল নিযুক্ত হয়ে আসার প্রথম থেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিরোধ চরমে উঠেছে। রাজ্যপালেকে বিজেপির মুখপাত্র বলে একাধিকবার নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালে জগদীপ ধনখড় পাল্টা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে নািলশ ঠুকেছেন। রাজ্যের আইন প্রশাসন নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটর পদে শিক্ষামন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় গুলির আচার্য পদে বসানোর প্রাস্তাবের মাঝেই আবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ভিজিটর পদে শিক্ষামন্ত্রীকে বসানোর তোরজোর শুরু হয়ে গিয়েছে। হিসেব মত রাজ্যের রাজ্যপাল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলির ভিজিটর পদে থাকেন। এবার সেখানে শিক্ষামন্ত্রীকে বসানোর তোরজোর শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের প্রবল বিরোধের কারণেই এই সিদ্ধান্ত হতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।