হিন্দি ভাষা ব্যবহার করলে সেই লোকেরা 'শূদ্র' হয়ে যাবেন! এমনটাই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন ডিএমকে সাংসদ টিকেএস এলনাগোভান। শুধু তাই নয়, পিছিয়ে পড়া রাজ্যগুলির ভাষা হিন্দি বলেও মন্তব্য তাঁর। ডিএমকে সাংসদের দাবি, হিন্দিকে ভাষা হিসাবে স্বীকার করে নেওয়া হলে সেই সমস্ত লোক 'শূদ্র' হয়ে যাবেন। যা কারোর জন্যেই ভালো নয় বলে দাবি।
গত কয়েকদিন ধরে ভাষা নিয়ে একটা বিতর্ক চলছে। আর এর মধ্যেই ডিএমকে সাংসদের এহেন মন্তব্য ঘিরে আরও জল্পনা তৈরি হয়েছে।
ডিএমকে সাংসদ টিকেএস এলনাগোভান বলেন, হিন্দি শুধুমাত্র পিছিয়ে পড়া রাজ্যগুলির ভাষা। যেমন বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান! পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশা, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, কেরল, মহারাষ্ট্র, গুজরাত এবং পঞ্জাবকে দেখুন...এগুলি উন্নয়নশীল রাজ্য নয়? এই সমস্ত রাজ্যগুলির মাতৃভাষা হিন্দি নয়। হিন্দিতে আমরা সবাই 'শূদ্র' হয়ে যাব বলেও মন্তব্য সাংসদের। যা আমাদের জন্যে মোটেই ভালো হবে না বলেও দাবি। বলে রাখা প্রয়োজন, ইংরেজি'র জায়গাতে হিন্দিকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
আর এরপর থেকেই যাবতীয় বিতর্ক। গত কয়েকদিন আগেই বিতর্কিত এক মিন্তব্য করেছিলেন তামিলনাড়ুর উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী কে পোনমুদি। তাঁর মন্তব্য ছিল, হিন্দি যারা বলেন তাঁরা নাকি ফুচকা বিক্রি করেন।
মন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, ইংরেজি একটি আন্তর্জাতিক ভাষা হলেও তামিল একটি স্থানীয় ভাষা। হিন্দি শিখলে তা আমাদের চাকরি পেতে সাহায্য করতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের রাজ্যে যারা ফুচকা বিক্রি করে তাঁরা কারা? প্রশ্ন তোলেন মন্ত্রী। আর তাঁর এহেন মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্কের ঝড় ওঠে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতেও এহেন মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান অনেকে। এমনকি স্থানীয় বিজেপির তরফেও এহেন মন্তব্যের তীব্র বিরোধীতা জানানো হয়।
পার্টি নেতা নারায়ন তিরুপতি বলেন, ডিএমকে পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে। শুধু তাই নয়, মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ। এমনকি এদিনের সাংসদের মন্তব্য ঘিরেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিজেপির দাবি, লাগাতার ডিএমকে হিন্দি ভাষাভাষির মানুষকে অপমান করে চলেছে। তবে বিজেপি সমস্ত ভাষাকেই সম্মান জানাতে বলেও মন্তব্য স্থানীয় নেতৃত্বের।
বলে রাখা প্রয়োজন, ডিএমকে সাংসদ টিকেএস এলনাগোভান অন্যতম বর্ষীয়ান এক রাজনীতিবিদ। ৬৭ বছর বয়সী এই সাংসদ চেন্নাই নর্থ থেকে ২০০৯ সালে সাংসদ হিসাবে নিরবাচিত হয়েছিলেন।
যদিও এখন রাজ্য সভার সাংসদ টিকেএস এলনাগোভান। এমনকি সাংগঠনিক ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তিনি। ডিএমকে'র অর্গানাইজেশন সেক্রেটারি। এমনকি সাংসদের বাবাও দীর্ঘদিনের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ সে রাজ্যে।