কী নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় কংগ্রেস?
এই সম্পত্তিগুলোর কোথাও কোনও আইনত বিবাদ রয়েছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে৷ কংগ্রেসের হাতে থাকা জমি ও সম্পদের কোনও দখলের উদাহরণ রয়েছে কিনা তা নিয়েই বিস্তারিত জানতেও বলা হয়েছে। এআইসিসি কোষাধ্যক্ষ পবন বনসল এ বিষয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি সহ প্রদেশ কংগ্রেস এবং রাজ্যের ইনচার্জদের কাছে দু'টি নির্দেশ পাঠিয়েছেন।
বহু বছর ধরে কংগ্রেসের সম্পত্তির কোনও জরিপ হয়নি!
দেশের স্বাধীনতার আগে থেকেই কংগ্রেসের জেলা এবং ব্লক স্তরের অফিস পর্যন্ত প্রতিটি রাজ্যে সম্পদ রয়েছে৷ সোনিয়া গান্ধীর দলের এখন নতুন উদ্বেগ হল যে এই জমিগুলির একটি বড় অংশ বেআইনিভাবে দখল করা হয়ে থাকতে পারে৷ কিংবা সে সংক্রান্ত অভিযোগ থাকতে পারে৷ এই কাজে দলেরই কিছু পদাধিকারীরা জড়িয়ে থাকতে পারেন! যেহেতু কংগ্রেস ২০১৪ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে গুরুতর রাজনৈতিক সংকটের পাশাপাশি আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হয়েছে তাই এবার সারা দেশে সম্পত্তি একত্রীকরণের ধারণাটি আরও তরান্বিত হয়েছে। বহু বছর ধরে এই সম্পত্তি একত্রীকরণকের ধারণার অভাব ছিল কংগ্রেসে, এরকমটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা!
সাত বছর আগেই এ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল কংগ্রেসে!
দিও এবারই প্রথম নয় এর আগে ২০১৫ সালে প্রথম এরকম একটি চিন্তাভাবনা শুরু করেছিল কংগ্রেস৷ কিন্তু সেই সময় আলোচনা হলেও সারা দেশে কংগ্রেসের মোট সম্পত্তির পরিমানের তথ্য সংগ্রহে কোনও রকম ব্যবস্থা গৃহীত হয়নি! ২০২০ সালে মহামারি শুরু মুখেও এই বিষয় নিয়ে কংগ্রেসে আলোচনা হয়, এবং অনেকে মনে করছেন তখনই দলে ঠিক হয় এই বিষয় তদারকি করার জন্য একজন কর্মকর্তা নিয়োগ করা যেতে পারে৷ সম্প্রতি এবার পদ্ধতিগতভাবে এই কাজ শুরু করে দিতে চলেছে কংগ্রেস।