একই বছরে জোড়া ভোট। একদিকে রাজ্যের, অন্যদিকে কেন্দ্রের নির্বাচন। আর এমন ডুয়াল লড়াই লড়তে হবে ওড়িশার রাজ্য সরকারে ক্ষমতায় থাকা নবীন পট্টনায়কের বিজু জনতা দলকে। বিজু জনতা দলকে এমন একটি রাজনৈতিক পার্টি , যারা বিজেপি এবং কংগ্রেসের থেকেই সমান দুরত্ব রেখে চালায় রাজ্য। সেখানে জোড়া নির্বাচন জিততে পুরোটাই নির্ভর করবে তাঁদের দলের পারফর্মেন্স। সেখানে বেশ কিছু নেতা মন্ত্রীর উপর দুর্নীতির অভিযোগ করছিল বিরোধীরা। আর বিজেপি যেহেতু পা জমাতে চাইছে তাই সেই অভিযোগ তাঁরা বেশি ভাবে করছে। বিরোধীকে কোনও সুযোগ দিতে রাজি নন নবীন পট্টনায়ক। তাই তিনি গতকাল আচমকা মন্ত্রীসভা 'শুদ্ধিকরণের' সিদ্ধান্ত নেন। সব মন্ত্রীকে বলেন পদত্যাগ করতে। তাঁর কথা মেনে ওড়িশায় যারা মন্ত্রী ছিলেন সবাই পদত্যাগ করেন। আজ গঠিত হবে নতুন মন্ত্রীসভা এবং তাঁরা আজ সবাই নতুন ভাবে শপথ নেবেন বেলা ১২ টা নাগাদ। ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিধানসভার স্পিকারও। কে নতুন স্পিকার হন সেদিকেও নজর থাকবে।
২০২৪ সালের আসন্ন লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ওড়িশার মন্ত্রীসভার সমস্ত মন্ত্রী গতকাল পদত্যাগ করেন। নতুন মন্ত্রীসভা ৫ জুন সকাল ১১:৪৫ এ শপথ নেবে। এমনটাই খবর মিলছে বিশেষ সূত্র মারফত। ভুবনেশ্বরের লোকসেবা ভবনের নতুন কনভেনশন সেন্টারে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে।
ইতিহাসে এই প্রথমবারের একটি পুরো মন্ত্রীসভা একই সময়ে পদত্যাগ করেছে। যাতে ভোটের আগে নবীন এবং প্রবীণ উভয়ই নতুন মুখের জন্য জায়গা তৈরি করা যায় এবং দলের মধ্যে কোন্দল না থাকে তা ঠিক করাও নবীন পট্টনায়কের এই মন্ত্রীসভা পরিবর্তনের আরও একটি কারণ।
আগের ক্যাবিনেটের মন্ত্রীদের মধ্যে যারা তাদের পোর্টফোলিওতে ভালো পারফর্ম করেছেন তাদের নির্বাচনের জন্য দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হবে। নবীন পট্টনায়েক সরকার টানা পঞ্চম মেয়াদের মধ্যে তিন বছর পূর্ণ করেছে। এই ২৫ বছরে, ভারতে এবং বিদেশে, নবীন পট্টনায়েককে শাসন রোল মডেল হিসাবে হয়ে উঠেছে। তাঁর কাজ এবং চিন্তা ভাবনা নিয়ে বারবার আলোচনা হয়।
নবীন পট্টনায়েক সবসময়েই বলেন যে তিনি কম কথা বলেন কারণ তিনি বিশ্বাস করেন যে কাজ করা উচিৎ আর সেটাই তাঁর হয়ে কথা বলবে। রাজনৈতিক মঞ্চে নেতারা দীর্ঘ বক্তৃতা দিলেও তার বক্তৃতা খুব কমই পাঁচ মিনিটের বেশি হয়। এক কথায় , কথা কম কাজ বেশি এই পন্থায় বিশ্বাসী তিনি।