কী বলছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ?
হাপুরের রুহি ইন্ডাস্ট্রি নামের একটি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আইজি পারভীন কুমার জানান, প্রাথমিক তদন্তে কারখানার মালিক দিলশাদকে ঘটনায় বলে অভিযুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রের খবর, হাপুরে কারখানা চত্বর থেকে কয়েকটি লম্বা প্লাস্টিকের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা যাচ্ছে যে খেলনা বন্দুকে ব্যবহৃত কিছু কার্তুজও কারখানায় তৈরি করা হয়েছিল। খেলনা বন্দুক তৈরি প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত গানপাউডারের কারণেই এত বড় বিস্ফোরণের হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের একটি অংশ সন্দেহ করছেন৷ উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ধারা ৩০৪ (অপরাধমূলক হত্যা) এর অধীনে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে।
কী ঘটেছিল ঘটনা!
শনিবার বেলা ৩টার দিকে উত্তরপ্রদেশের হাপুরে একটি রাসায়নিক কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণ হয়। এই ঘটনায় ১২ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের আঘাত এতটাই তীব্র ছিল যে আশেপাশে অবস্থিত কয়েকটি কারখানার ছাদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বিস্ফোরণের ঘটনায় শোক প্রকাশ যোগীর!
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের শিল্প এলাকায় অবস্থিত রুহি ইন্ডাস্ট্রি নামের কারখানায়। ২০২১ সালেই ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি তৈরি করার লাইসেস পেয়েছে কারখানাটি৷ দিলশাদ মালিক নামের একজনকে কারখানার মালিক হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ৷ দিলশাদ মিরাটের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে দিলশাদ সম্প্রতি হাপুরের বাসিন্দা ওয়াসিম নামে এক ব্যক্তিকে কারখানাটি ভাড়া দিয়েছিলেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বিস্ফোরণে মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন এবংমৃতদের পরিবারকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।