মোট ৫৭ টি আসনের নির্বাচন
১০ জুন ১৫ টি রাজ্যের মোট ৫৭ টি আসনে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছিল। এর মধ্যে ১১ টি রাজ্যের ৪১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। .বাকি ১৬ জন প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে ভোট নেওয়া হবে ১০ জুন।
হরিয়ানা, রাজস্থান, কর্নাটক, মহারাষ্ট্রে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। এইসব রাজ্যে আসনের থেকে প্রার্থী বেশি রয়েছেন। আর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত প্রার্থীরা তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
যেসব রাজ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী প্রার্থীরা
যে সব রাজ্য থেকে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁর মধ্যে উত্তর প্রদেশের ১১ জন, তামিলনাড়ুতে ছয় জন, বিহারে ৫ জন, অন্ধ্রপ্রদেশে ৪ জন, ওড়িশায় তিনজন, ছত্তিশগড়, পঞ্জাব, তেলেঙ্গানা ও ঝাড়খণ্ডে দুজন করে এবং উত্তরাখণ্ডে একজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
যে ৪ রাজ্যে ১০ জুন নির্বাচন হবে
হরিয়ানা, রাজস্থান, কর্নাটক, মহারাষ্ট্রে ১০ জুন শুক্রবার রাজ্যসভা নির্বাচন হতে চলেছে। হরিয়ানায় দুটি আসনে নির্বাচন। সেখানে প্রার্থী রয়েছেন বিজেপির কিষাণলাল পানোয়ার, বিজেপি সমর্থিত কার্তিকেয় শর্মা এবং কংগ্রেসের অজয় মাকেন।
রাজস্থানে ৪ টি আসনে নির্বাচন হতে চলেছে ওইদিন। সেখানে কংগ্রেস প্রার্থীরা হলেন মুকুল ওয়াসনিক, রণদীপ সুরজেওয়ালা এবং প্রমোদ তিওয়ারি। বিজেপি প্রার্থী রয়েছেন ঘনশ্যাম তিওয়ারি এবং বিজেপি সমর্থিত প্রার্থী রয়েছেন সুভাষ চন্দ্র।
মহারাষ্ট্রে ছটি আসনে নির্বাচন হতে চলেছে। সেখানে বিজেপি প্রার্থী পীযুষ গোয়েল, অমিল বন্দে এবং ধনঞ্জয় মহাদিক। শিবসেনার প্রার্থী সঞ্জয় রাউত এবং সঞ্জয় পাওয়ার। কংগ্রেস প্রার্থী ইমরান প্রতাপঘরি এবং এনসিপি প্রার্থী প্রফুল প্যাটেল।
কর্নাটকে ৪ আসনে নির্বাচন। সেখানে বিজেপি প্রার্থী রয়েছেন নির্মলা সীতারমন, জগ্গেশ, লাহার সিং সিরোয়া। কংগ্রেস প্রার্থী জয়রাম রমেশ এবং মনসুর আলি খান। জেডিএস প্রার্থী কুপেন্দ্র রেড্ডি।
বিজেপির নজর থেকে বিধায়কদের বাঁচাতে তৎপর কংগ্রেস
অন্যদিকে হরিয়ানা ও রাজস্থানে বিজেপির নজর থেকে বিধায়কদের বাঁচাতে তৎপরতা শুরু করেছে কংগ্রেস। বিধায়কদের উদয়পুরের রিসর্টে তোলা হয়েছে। নিজেদের সংখ্যা না থাকলেও বিজেপি কংগ্রেসের ঘর ভাঙাতে হরিয়ানায় সমর্থন করছে কার্তিকেয় শর্মাকে। রাজস্থানে তারা সমর্থন করছে সুভাষচন্দ্রকে। তবে শুরু রাজস্থান কিংবা হরিয়ানাই নয় বাকি দুই রাজ্যেও দলের বিধায়কদের নজরদারিতে রাখছে কংগ্রেস।