উত্তরপ্রদেশের হাপুর জেলায় একটি রাসায়নিক কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে আটজন নিহত এবং পনেরো জন আহত হলেন। হাপুর আইজি প্রবীণ কুমার জানিয়েছেন, রাসায়নিক কারখানার ইলেকট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটে বিস্ফোরণে আহতদের চিকিৎসা চলছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে এবং এই কারখানার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, হাপুর জেলার ঢোলনা এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানাটি। বয়লার ফেটে বিস্ফোরণের পর থেকে সেখানে উদ্ধার কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে। দেশে বিভিন্ন প্রান্তে এমন ঘটনা নতুন নয়। ঘটে যাওয়া এমন সমস্ত দুর্ঘটনাতেই কর্মীদের নিরাপত্তার নিয়ম লঙ্ঘন করার পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তাদের শিথিল পরিদর্শনকে দায়ী করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ শোক প্রকাশ করেছেন। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষে টুইট করে জানানো হয়, "মুখ্যমন্ত্রী জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে যেতে বলেছেবন। আধিকারিকদের উদ্ধার ও ত্রাণ ব্যবস্থার তদারকি করতে বলা হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে সব ধরনের সাহায্য করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"
দিন দুয়েক আগে একই ঘটনা ঘটেছিল ভদোদরার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভদোদরার নন্দেসারি এলাকায় একটি রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণে অন্তত আটজন শ্রমিক আহত হন। নন্দেসারি থানার আধিকারিকদের মতে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ দীপক নাইট্রাইটে বিস্ফোরণ ঘটে এবং তারপরে আগুন লাগে, যা প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে হাইওয়ে থেকে দেখা যাচ্ছিল।
আহত কর্মচারীদের দ্রুত এসএসজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে জরুরী ওয়ার্ডে আহতদের চিকিৎসার জন্য ১৫ জন চিকিৎসকের একটি দল মোতায়েন করা হয়। আহত তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে জরোদ থেকে কুইক রেসপন্স সেন্টার সহ জিএসএফসি ফায়ার স্টেশন সহ ১৭টি ফায়ার টেন্ডার ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল। ভাদোদরা শহরের একজন সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক বলেছিলেন, "বিস্ফোরণের সময় কতজন লোক ভিতরে ছিল তা আমরা এখনও নিশ্চিত করতে পারিনি। আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলার পরেই ফায়ার এবং উদ্ধারকারী দলগুলি এলাকা স্যানিটাইজ করার পরেই হতাহতের সংখ্যা নির্ধারণ করতে সক্ষম হবে।"
ভাদোদরা জেলা কালেক্টর এবি গোর এবং ভাদোদরা শহরের যুগ্ম কমিশনার অফ পুলিশ চিরাগ করোদিয়া অভিযানের তদারকি করতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। নন্দেসারি হল একটি শিল্প কেন্দ্র যেখানে একটি জায়গায় অনেক রাসায়নিক কারখানা রয়েছে। ফায়ার আধিকারিকদের মতে, ফায়ার টেন্ডারগুলি প্রথম প্রভাব এলাকায় আগুন নেভাতে শুরু করলে, আগুন পিছনের প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশবাহিনীও।