কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে কী জানা গেল
কারণ গতকাল, শুক্রবার একদিনে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৪ হাজার ৪১ জন। মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। সুস্থ হয়েছেন ২৩৬৩ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৭৪ শতাংশ। যেখানে অ্যাক্টিভ কেস বেড়ে শুক্রবার হয়েছে ২১ হাজার ১৭৭ জন। যা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
কি বলা হয়েছে চিঠিতে?
কি বলা হয়েছে চিঠিতে? কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ বলেন, এই পাঁচ রাজ্যে ক্রমশই বেড়ে চলেছে করোনা গ্রাফ। এই সংক্রমণে লাগাম টানতে কেন্দ্র করোনা পরীক্ষা আরও বাড়াতে বলেছে। তিনি নির্দেশ দিয়ে বলেন করোনার কঠোর বিধি নিষেধ মানতে হবে। এবং সকলকে করোনার টিকা নিতে হবে।
নির্দেশিকা অনুযায়ী কি জানা গিয়েছে
নির্দেশিকা অনুযায়ী জানা গিয়েছে, যাদের সামান্য উপসর্গ আছে তাঁদের করোনা পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। যাদের করোনা রিপোর্ট ইতিবাচক, তাঁদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রাথমিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ও সারি কেস পর্যবেক্ষণ করতে হবে। আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জিনোমিক সিকোয়েন্সিং পরীক্ষা করাতে হবে। নমুনা সংগ্রহ করতে সেন্টিনেল সাইটগুলি ব্যবহার করতে পারে। যারা এখনও করোনা টিকা নেয়নি, তারা তা তাড়াতাড়ি নিয়ে নিন। করোনার পরীক্ষার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। সেই সঙ্গে নজরদারি বাড়ানো দারকার।
মহারাষ্ট্রের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব কী বলা হয়েছে
মহারাষ্ট্রের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব প্রদীপ ব্যাসকে চিঠিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ রাজ্য জুড়ে কঠোর নজরদারি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ, সেই রাজ্যে রেকর্ডহারে বেড়েছে কোভিড সঙ্ক্রমণ। ২৭ মে ১৫ হাজার ৭০৮ টি কেস শনাক্ত করা হয়েছে। শুক্রবারের রিপোর্ট লক্ষ্য করলে দেখা অনেকটাই বেড়েছে করোনা গ্রাফ। সেই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৫৫ জন। ২৭ মে সাপ্তাহিক ইতিবাচকতার হার ছিল ০.৫২ শতাংশ। সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ জুন ০.৭৩ শতাংশ।
কোথায় কোথায় ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ
ভূষণ চিঠিতে বলেন, মুম্বাই শহরতলি, থানে, পুনে, রায়গড় ও পালঘরে অনেকটাই বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। সেই সঙ্গে ঊর্ধ্বমুখী ইতিবাচকতার হারও। প্রশাসনের এবিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে। না হলে জন সাধারণের ওপর একটি ঝুঁকি তৈরি হবে।
সরকারি তথ্য অনুসারে কী জানা গেল
সরকারি তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর শহুরে এলাকা হল সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের জায়গা। যেখানে সাপ্তাহিক কেস এবং ইতিবাচকতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
তেলেঙ্গানায় ২৭ মে সপ্তাহে ২৮৭ টি করে নতুন কেস ধরা পড়েছে। যা বেড়ে ৩৭৫ জন আক্রান্তের সংখ্যা দেখা গেছে ৩ জুন। সাপ্তাহিক কেস অনেক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। রাজ্যে গত সপ্তাহে ০.৪ শতাংশ থেকে ০.৫ শতাংশ পর্যন্ত ইতিবাচকতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
তামিলনাড়ুতে বাড়ছে করোনা
তা হল তামিলনাড়ুর দুটি জেলা চেন্নাই ও চেঙ্গলপাট্টু। সেখানে অনেকটাই বেড়েছে করোনার হার। যা নিয়ে খুবই চিন্তিত সেখানকার জনগণ।
কেরলে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের হার
কেরলে ১১ টি জেলায় অনেকটাই বেড়েছে সংক্রমণের হার। সেগুলি হল এর্নাকুলাম, তিরুভানাথাপুরম, কোট্টায়াম, কোঝিকোড, পাঠানামথিট্টা, ইদুক্কি, আলাপুঝা, কোল্লাম, কান্নুর, মালাপ্পুরম ও ওয়েনাড। যেখানে সাপ্তাহিক মামলা ও ইতিবাচকতার হার অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভূষণ জানান,
ভূষণ জানান, যেসব জায়গায় ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ, সেখানে কড়া পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। না পরিস্থিতিতে লাগআম দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। সেই সঙ্গে সকলকে সাবধানতা ও সচেতনতা অবলম্বন করতে বলা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মত
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত কেসগুলি খুব তাড়াতাড়ি আলাদা করতে হবে। এবং তাদের বিচ্ছিন্ন করতে। করোনা পরীক্ষা বাড়াতে হবে। সকলকে করোনা টীকা নিতেও হবে।
জ্যাকব জন কী বললেন
ভেলোরের খ্রিস্টান মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের প্রাক্তন প্রধান জ্যাকব জন বলেন, যেখানে করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, সেখানে পরীক্ষা বাড়ানো দরকার। টেস্টিং, ট্র্যাকিং, চিকিত্সা বাড়াতে হবে, আর এটাই আমাদের একমাত্র চাবিকাঠি।