ঘটনা একটু অদ্ভুত, তবে সব কিছুতেই যে হিন্দুত্ববাদ , ধর্ম এসব প্রবেশ করে যাবে এর কী কোন যুক্তি রয়েছে ? এই প্রশ্ন উঠছে তখন, যখন জানা যাচ্ছে গুজরাতের এক মেয়ে নিজেকে নিজেই বিয়ে করতে চাওয়ার কথা বলার পর। সে নিজের সঙ্গে নিজে মধুচন্দ্রিমায় যেতে চায়। এবার ঘটনা হল এই ঘটনা অনেকটা নিজেকে ভালোবাসার মতো। এবার নিজেকে ভালোবাসা অপরাধ কিছু নয়। হতে পারে অনেকে ভাবতে পারে বিষয়টি স্বার্থপরের মতো মনে হতে পারে, অনেকে বিষয়টি নিয়ে মজা করতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে এটি কি কোনও ধর্মে আঘাত করে ? সাধারণভাবে চিন্তা ভাবনা করে যে কেউ বলবে , 'না'। কিন্তু কিছু অসাধারণ মস্তিস্ক মনে করছে এটা ধর্মবিরোধী কাজ।
বিজেপি সিটি ইউনিটের উপ-প্রধান সুনীতা শুক্লা ১১ জুন ভাদোদরার ২৪ বছর বয়সী ক্ষমা বিন্দুর নিজেকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে অদ্ভুত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন৷ তিনি বলেছেন যে, "যদি তিনি কোনও মন্দিরে বিয়ে করেন তবে আমরা তাকে তা করতে দিতে পারি না," সুনিতা শুক্লা এও বলেছেন যে, "এই ধরনের বিয়ে হিন্দু ধর্মে হয় না।" সুনীতা শুক্লা বলেন যে "বিন্দু মানসিকভাবে অসুস্থ"। তিনি বলেন, হিন্দু সংস্কৃতিতে কোথাও লেখা নেই যে একটি ছেলে একটি ছেলেকে বিয়ে করতে পারে বা একটি মেয়ে একটি মেয়েকে বিয়ে করতে পারে। "আমি ওঁর বিবাহের স্থান বেছে নেওয়ার বিপক্ষে, তাকে কোনো মন্দিরে বিয়ে করতে দেওয়া হবে না। এ ধরনের বিয়ে হিন্দু ধর্মের মধ্যে চলে না , হয় না। এতে হিন্দুদের জনসংখ্যা কমে যাবে, এসব হিন্দু ধর্মের মধ্যে হতে থাকলে তাহলে আর কোনও আইনের শাসন থাকবে না।
প্রসঙ্গত , ক্ষমা সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং বর্তমানে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে সিনিয়র রিক্রুটমেন্ট অফিসার হিসেবে কাজ করছেন। তার বাবা-মা দুজনেই চাকুরিজীবী। তার বাবা দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকেন এবং তার মা আহমেদাবাদে থাকেন। বিষয় হল , বেশিরভাগ মেয়েরা এমন এক বরের স্বপ্ন দেখেন, যে ঘোড়ায় চড়ে আসবে এবং তাকে বিয়ে করে নিয়ে যাবে। ক্ষমা তার বরকে নিজের মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন। তিনি নিজেকে এতই পছন্দ করেন যে তিনি অন্য কাউকে বিয়ে করতে চান না। এবং তাই তিনি নিজেই নিজেকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।