কাশ্মীরে নতুন করে হিংসা বাড়ছে। তাই অবশেষে নড়েচড়ে বসল জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের। পণ্ডিতরা কাশ্মীর ছাড়ার কথা বলেছিল আগেই। কয়েকদিন আরও একজনের মৃত্যুর পর সেই দাবি আরও চরমে ওঠে। চাপে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন ১৭৭ জন শিক্ষককে নিরাপদ স্থানে বদলির নির্দেশ দিল।
জানা গিয়েছে যে এঁরা সবাই প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্যাকেজে চাকরি পেয়েছিলেন। এমন ১৭৭ জন শিক্ষককে নিরাপদ স্থানে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করেন শ্রীনগরের চিফ এডুকেশন অফিসার। শুক্রবার ওই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্যাকেজে চাকরি পেয়েছেন প্রায় চার হাজার সরকারি কর্মী। তাঁরাই কাশ্মীরে নাগাড়ে হত্যাকাণ্ডের জেরে নিজেদের সুরক্ষার জন্য কাশ্মীর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন। দিচ্ছিলেন হুমকিও। তাঁদের মধ্যে আপাতত ১৭৭ জন শিক্ষককে নিরাপদ স্থানে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জম্ম-কাশ্মীরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নতুন করে খারাপ হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে তড়িঘড়ি হয় জরুরি বৈঠক। বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই বৈঠক হয় শুক্রবারেই। তারপরে এই নির্দেশ যায় কাশ্মীরের শ্রীনগরের চিফ এডুকেশন অফিসারের কাছে। তিনি ১৭৭ জনকে স্থানে বদলির নির্দেশ দেন।
জানা যায় যে অমিত শাহের সঙ্গে ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন সেনা প্রধান মনোজ পাণ্ডে, জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা, বৈঠকে হাজির ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও। শাহের সঙ্গে ওই বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার পদস্থ আধিকারিকরা। আলোচনা হয় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকা ছাড়ার হুমকি নিয়ে । শ্তরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, জঙ্গি হামলা রুখতেই হবে । সে যে ভাবেই হোক না কেন। পাকিস্তানের মদতে বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠনই কাশ্মীরে সংখ্যলঘুদের উপর এই হামলা করছে। বৈঠকে এমনটাই জানানো হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এও জানা যে কাশ্মীরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি ১৭৭ শিক্ষককে নিরাপদ স্থানে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঘটনা হল কাশ্মীরে এমন বারবারন্ত পরিস্থিতি দেখে অনেকেই উপত্যকা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জানা যাচ্ছে ধীরে ধীরে কাশ্মীর ছাড়তে শুরু করেছেন আতঙ্কিত মানুষ। এই দলে রয়েছচেন অনেক পরিযায়ী শ্রমিকও। তাঁরা শুক্রবার নিরাপদ স্থানে খুঁজে ছাড়ছেন ভূ-স্বর্গ।
এই ঘটনার সূত্রপাত রাহুল ভাট নামক এক কাশ্মীরি পণ্ডিতের হত্যা দিয়ে। সরকারি দফতরে ঢুকে তাঁকে খুন করা হয়। এরপর কুলগাঁওতে এক মহিলাকে হত্যা করা হয় যিনি শিক্ষিকা ছিলেন পাশাপাশি ছিলেন পণ্ডিত।