কানপুর হিংসার ঘটনায় বড় সাফল্য পুলিশের! ঘটনার মূল অভিযুক্ত জাফার হায়াত হাশমিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রাতেই কানপুর পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে। ঘটনার পরেই কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
আর এরপরেই বিশেষ অভিযান চালায় পুলিশ। আর সেই সময়ে হাশমিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত হাশমি একের পর এক ফেসবুক পোস্ট করে। এমনকি উত্তেজনা তৈরি করতে একের পর এক পোস্ট করে বলেও অভিযোগ।
শুক্রবার এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কানপুর। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় হিংসার ঘটনা ঘটে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক ভাঙচুর চলে। এমনকি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। আর সেই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত জাফার হায়াত হাশমিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। প্রায় ৮০০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনায় ২৪ জনেরও বেশি জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে ধৃতদের তালিকার একেবারে শীর্ষেই জাফারের নাম ছিল।
তবে গ্রেফতারের পরেই জাফারের পরিবারের দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় জাফার, দাবি পরিবারের। অন্যদিকে হিংসার ঘটনায় প্রায় ৪০ জন মানুষ আহত হন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে খবর। অন্যদিকে কানপুরের হিংসায় ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
তবে এডিজি জানান, ঘটনার সময়ে পুলিশের সংখ্যা কম ছিল, তবে পরে ব্যাপক ভাবে বাড়ানো হয়েছে। ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হবে বলেও দাবি করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে দোষীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন সে রাজ্যের এডিজি। অন্যদিকে এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি রাখাটাও প্রয়োজনীয় বলে জানিয়েছেন এডিজি।
অন্যদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে এডিজি প্রশান্ত কুমারের হুঁশিয়ারি, ঘটনায় অভিযুক্তদের এমন কড়া শাস্তি দেওয়া হবে যাতে আগামিদিনে কেউ এমন কাজ করার আগে দুবার ভাববে। তবে ঘটনার পরে এই মুহূর্তে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।