পুরনো চালেই আরএসএস মসজিদ দখল করতে চাইছে , মত ওয়াইসির

কাশী, মথুরা, কুতুব,কাশী, মথুরা, কুতুব,জ্ঞ্যানব্যাপি মসজিদ বিতর্ক নাগাড়ে চলছে। সেই তালিকায় রয়েছে আরও অনেক মন্দির মসজিদ বিতর্ক। মথুরা থেকে শুরু করে মধ্যপ্রদেশ , দক্ষিণ ভারতের কিছু রাজ্য থেকে একই দাবি উঠে এসেছে। তালিকায় ছিল তাজমহল এবং কুতুব মিনারও, যা নিয়ে এএসআই ঢাল ধরায় সেই বিতর্ক আর বেশি দূর এগোয়নি। নানা ডানপন্থী দল এই দাবি করছিল। এসবের মাঝে আরএসএস প্রধানের মন্তব্য চমকে দিয়েছে অনেককেই যেখানে তিনি বলেছেন সব মসজিদের তলাতেই মন্দিরের খোঁজ করতে হবে বা সব মসজিদের তলায় যে মন্দির রয়েছে তার কোনও মানে নেই। এ নিয়েই মুখ খুলেছেন মিম সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।

তিনি বলেছেন এসব সংঘের পুরনো পদ্ধতি। প্রথমে তাঁরা যে সব জায়গা খুব একটা জনপ্রিয় নয় সেগুলি নিয়ে আর এগোয় না বিবৃতি দিয়ে। কিন্তু তলায় তলায় কাজ চলতে থাকে, বুঝতেই পারা যায় না কখন ওই জায়গা অন্যের হাতে চলে যাবে। ওইয়াইসি মনে করেন এক্ষেত্রেও তাই হবে। এখন যে জায়গাগুলি বেশি জনপ্রিয় নয় সেগুলি নিয়ে উপরে উপরে কোনও কিছু বলবে না সংঘ। কাজ হবে ভিতরে। তারপর সে জায়গা ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে। এ নিয়ে তিনি একটি বিশাল টুইট করেছেন যেখানে তিনি ১৭ পয়েন্ট উল্লেখ করে সংঘের কাজ বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি বলছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ তৈরি হওয়ার আগে পর্যন্ত অযোধ্যা নিয়ে সংঘের কোনও বক্তব্য ছিল না। ওইয়াইসির মতে পালনপুরে সম্মেলনের পর থেকে বিষয়টি বদলে যায়, এখন যারা মথুর , কাশী, কুতুব মিনার নিয়ে যারা হইচই করছে তাঁরা উপরে উপরে কেউ সংঘের সঙ্গে জড়িত নয়। আসলে এদের সবাইয়ের সংঘের যোগ রয়েছে। ওরাই এইসব কাজ করিয়েছে, কিন্তু ওরাই আবার বলছে সব জায়গায় এসব কাজের দরকার নেই, এটাই সংঘের পুরনো পদ্ধতি বলে জানাচ্ছেন ওয়াইসি।

তিনি বলছেন প্রধানমন্ত্রীর ১৯৯১ সালের আইন মেলে চলতে বলার কথা বলা উচিৎ। বৃহস্পতিবার, মোহন ভাগবত বারাণসীর জ্ঞানব্যাপি মসজিদ বিতর্ক নিয়ে বলেন যে, "জ্ঞানবাপি ব্যাপারটা চলমান। আমরা ইতিহাস বদলাতে পারব না। আজকের হিন্দু বা আজকের মুসলমানরা এটা তৈরি করেনি। এটা সেই সময়েই ঘটেছিল। ইসলাম বাইরে থেকে এসেছিল আক্রমণকারীদের মাধ্যমে। আক্রমণে দেবস্থান ভেঙে দেওয়া হয়েছিল তাদের মনোবল নিঃশেষ করতে যারা চেয়েছিল।"

ভাগবত বলেন , "যেসব জায়গাতে হিন্দুদের বিশেষ ভক্তি রয়েছে সেই জায়গাগুলি নিয়ে ইস্যুগুলি উত্থাপিত হয়েছিল। আজকের মুসলমানদের পূর্বপুরুষরাও হিন্দু ছিল। এটি তাদের চিরকালের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত রাখতে এবং মনোবলকে দমন করার জন্য করা হয়েছিল। তাই হিন্দুরা মনে করে যে ধর্মীয় স্থান পুনরুদ্ধার করা উচিত," ।

এটাকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে ওয়াইসি বলেন, মুসলিম আক্রমণকারীদের অনেক আগেই ব্যবসায়ী ও পণ্ডিতদের মাধ্যমে ইসলাম ভারতে এসেছিল। আজকের মুসলমানদের পূর্বপুরুষরা কোথায় এসেছিলেন তা অপ্রাসঙ্গিক। তাদের পূর্বপুরুষরা হিন্দু হলেও সংবিধান অনুসারে তারা ভারতের নাগরিক। "যদি কেউ বলতে শুরু করে যে ভাগবতের পূর্বপুরুষরা জোর করে বৌদ্ধ ধর্ম থেকে ধর্মান্তরিত হয়েছিল?" ।

তেলেঙ্গানার বিজেপি প্রধান বান্দি সঞ্জয় কুমারের সাম্প্রতিক সতর্কবার্তার উল্লেখ করে যে তেলেঙ্গানার সমস্ত মসজিদ খনন করা উচিত। এ নিয়ে ওয়াইসি বলেন, "কেউ কেউ বলবে আমাদের শুধু বাবরি দাও এবং অন্য কোনও মসজিদ স্পর্শ করা হবে না। অন্যরা বলেছেন শুধুমাত্র অযোধ্যা, কাশী এবং মথুরা এবং আরও অনেকে বলেছেন প্রতিটি মধ্যযুগীয় মসজিদ। বিজেপি তেলেঙ্গানা সভাপতি বলেছেন রাজ্যের প্রতিটি মসজিদ খনন করা উচিত।"

More RSS News  

Read more about:
English summary
asaduddin owaisi on mohan bhagwat and rss
Story first published: Saturday, June 4, 2022, 13:12 [IST]